কলকাতা: ফের রেকর্ড গড়ল জ্বালানির দাম। আজ কলকাতায় পেট্রোলের দাম লিটারপ্রতি ২৪ পয়সা বেড়ে হল ৮৭ টাকা ১১ পয়সা। কলকাতায় আজ লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ২৫ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৭৯ টাকা ৪৮ পয়সা। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা।


এর আগে গত বছরের অগাস্ট মাস থেকে দেশ জুড়ে টানা ১০ বার লিটারে মোট ১৭.১১ টাকা কমানো হয়েছিল পেট্রোলের দাম। আর অক্টোবরে ডিজেল পুরোপুরি সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হওয়ার পরে তার দাম ছ’বারে কমেছে সাকুল্যে ১২.৯৬ টাকা।

যদিও তেলের দাম কমানো নিয়ে সে সময়ে দানা বেঁধেছিল বিতর্কও। কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম যতটা হুড়মুড়িয়ে কমেছে, সেই অনুপাতে কমেনি দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দর। এর কারণ, নভেম্বর মাস থেকে চার দফায় জ্বালানি দু’টির উপর উৎপাদন শুল্ক (পেট্রোলে লিটার পিছু মোট ৭.৭৫ টাকা, ডিজেলে ৭.৫০ টাকা) চাপিয়েছে সরকার। সরকারের লক্ষ্য ছিল, তেলের দাম কম থাকতে থাকতে যতটা সম্ভব রাজকোষ ভরিয়ে নেওয়া। উদ্দেশ্য সফলও হয়েছে মোদি সরকারের। কিন্তু এতে তেলের দাম কমার সুবিধা তেমন ভাবে পৌঁছয়নি সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। যাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারও করেছে বিরোধী দলগুলি।

চলতি নিয়ম অনুযায়ী, এখন দৈনিক ভিত্তিতে পেট্রোল এবং ডিজেলের সংশোধিত দাম প্রকাশ করে জ্বালানি তেল বিপণনকারী সংস্থাগুলি। প্রতিদিন সকাল ৬টায় এই সংশোধিত দাম প্রকাশিত হয়। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম সব থেকে বেশি। মূলত কোভিডের কারণে রাজকোষে ঘাটতি মেটাতে অতিরিক্ত শুল্ক চাপানো এবং বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ওঠানামার কারণে শেষ কয়েক দিন ধরে সর্বকালীন সর্বোচ্চ শিখরের কাছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম।

অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের জন্য ২০২০ সালের মার্চ এবং মে মাসে দুই কিস্তিতে প্রতি লিটার পেট্রোল এবং ডিজেলে যথাক্রমে ১৩ টাকা এবং ১৫ টাকা শুল্ক বাড়িয়েছিল সরকার। এ ছাড়া পেট্রোল এবং ডিজেলে রাজ্যভিত্তিক ভ্যাট ও আবগারি শুল্কের মতো করের পরিমাণ পৃথক হওয়ায় বিভিন্ন শহরে দাম আলাদা।