কলকাতা : এবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে চিঠি দীপেন্দু বিশ্বাসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন দীপেন্দু।তৃণমূলনেত্রীকে চিঠিতে দীপেন্দু লিখেছেন, ‘অভিমানে ভুলবশত নেওয়া সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আপনার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই।’




দীপেন্দু বলেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন। তিনি ফের তৃণমূলের হয়েই কাজ করতে চান। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত থেকে দলের পতাকা ফের হাতে তুলে নেওয়ার ইচ্ছের কথাও জানিয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও কোনও বার্তা তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে  নারদকাণ্ডে গ্রেফতারে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গত্যাগ করেছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। ই-মেল পাঠিয়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তিনি জানিয়েছিলেন,  বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ তাঁর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। নারদ কাণ্ডে যেভাবে তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের   গ্রেফতার করা হয়েছে, তা ভাল লাগেনি’ বলে প্রতিক্রিয়া জানান দীপেন্দু বিশ্বাস। উল্লেখ্য, নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্রকে।


আর এই গোটা বিষয়টিই ভাল লাগেনি দীপেন্দুর। এই গ্রেফতারের পরদিন এবিপি আনন্দকে ফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, 'গতকাল সকাল থেকে যা যা দেখেছি ভাল লাগেনি, গ্রেফতার ভাল লাগেনি। মনে হয়েছে এটা প্রতিহিংসা পরায়ন রাজনীতি।' তিনি আরও বলেন, সেই কারণেই গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ই-মেল করেছি। লিখেছি, বিজেপির কোনও ব্যাপারেই থাকতে চাই না। পদত্যাগ করলাম।'


২০১৬ সালে বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করলেও এ বছর টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দীপেন্দু। এ প্রসঙ্গে দীপেন্দু জানিয়েছিলেন 'রবিবার রাতে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।


বিজেপিতে গিয়েও বিজেপির প্রার্থী হতে পারেননি দীপেন্দু। তাঁকে দলের রাজ্য কমিটির স্থায়ী সদস্য করা হয়েছিল। তারপর ফের বিজেপির সঙ্গ  ছাড়েন তিনি।