নিউ দিল্লি : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু পারমাণবিক শক্তি কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্রীকুমার ব্যানার্জির। রবিবার মুম্বইয়ের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 


টুইটারে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "ভারতীয় বিজ্ঞানে তাঁর অগ্রণী ভূমিকার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন শ্রীকুমার ব্যানার্জি। মূলত পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্র ও ধাতুবিদ্যার জন্য তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন অসামান্য মেন্টর এবং প্রতিষ্ঠান প্রস্তুতকারক। তাঁর মৃত্যুতে আমি দুঃখিত। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাই। ওম শান্তি।"


এর আগে শ্রীকুমার ব্যানার্জি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত মাসেই সেরে ওঠেন তিনি। এরপর রবিবার নভি মুম্বইয়ের বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গত মাসে তিনি ৭৫ বছরে পা দিয়েছিলেন।


১৯৬৭ সালে আই আই টি খড়গপুর থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন শ্রীকুমার ব্যানার্জি। মুম্বইয়ে ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রের(BARC) সায়েন্টিফিক অফিসার হিসাবে কাজে যোগ দেন। ২০০৪ সালে তিনি BARC-র অধিকর্তা নিযুক্ত হন। ২০১০ সাল পর্যন্ত সেই পদেই ছিলেন। এরপর পরবর্তী আড়াই বছর কাটে DAE-তে। ২০১২ সালে পারমাণবিক শক্তি দফতরের সেক্রেটারি হিসাবে অবসর নেন তিনি।


খড়গপুর আই আই টি-র এই প্রাক্তনী ২০০৫ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হন। এছাড়া বিজ্ঞানের জগতে ব্যতিক্রমী অবদানের জন্য ১৯৮৯ সালে পেয়েছিলেন শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমির ফেলো ছিলেন তিনি। 


BARC এবং DAE-তে শ্রীকুমার ব্যানার্জির পূর্ববর্তী ছিলেন ভারতীয় পরমাণু পদার্থবিদ অনিল কাকোদকর। তিনি বলেন, হঠাৎ এই খবরে আমরা স্তম্ভিত। উনি এবং ওঁর স্ত্রী করোনামুক্ত হয়ে উঠেছিলেন। শ্রীকুমার ব্যানার্জি শুধু একজন সহকর্মীই ছিলেন না, উনি ভাল বন্ধুও ছিলেন। অবসরের পরও আমরা বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে কাজ করতাম। উনি প্রায়ই আমায় ফোন করে এনার্জি নিয়ে আইডিয়া শেয়ার করতেন। সপ্তাহখানেক আগেই ওঁর সাথে কথা হয়েছিল। 


উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের কাউন্সিল মেম্বার ছিলেন শ্রীকুমার ব্যানার্জি।