বেজিং: রোগমুক্ত বলে ঘোষণা হয়েছিল আগেই। কিন্তু পুরোপুরি বিদায় নেয়নি নোভেল করোনাভাইরাস (Novel Coronavirus)। বরং চিনে ফের ভয় ধরাচ্ছে কোভিডের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ (COVID Cases)। অতিমারির সূচনাকালের সংক্রমণকে ছুঁয়ে ফেলছে এখনকার দৈনিক সংক্রমণ। বুধবারই সেখানে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনা। সংক্রমিত হয়েছেন। ধীরে ধীরে যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরছে দেশ, নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বাড়ছে উদ্বেগ (COVID in China)। 


চিনে ফের ভয় ধরাচ্ছে কোভিডের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ


বৃহস্পতিবার যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে, তাকে ঘিরেই বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ বুধবার চিনে মোট ৩১ হাজার ৪৫৪ জনের শরীরে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে জানানো হয়েছে তাতে। এর মধ্যে অধিকাংশ আবার উপসর্গহীনও। এঁদের মধ্যে ২৭ হাজার ৫১৭ জন রোগীর শরীরে করোনার কোনও উপসর্গ ছিল না বলে জানিয়েছে চিনের ন্যাশনাল হেল্থ ব্যুরো। এর আগে, চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি দৈনিক সংক্রমণ ২৯ হাজার ৩৯০-তে গিয়ে ঠেকেছিল। তার পর এই প্রথম এত বৃদ্ধি দৈনিক সংক্রমণে।


চিনের মোট জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। সেই তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ খুব একটা আতঙ্কের নয় বলে মনে করছেন অনেকে। কিন্তু অতিমারি নিয়ে এখনও কড়া বিধি-নিষেধ রয়েছে দেশের একাধিক অঞ্চলে। বেজিং-এও কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই একদিনে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের সংক্রমণে কাজকর্ম ফের বন্ধ হতে পারে ভেবে আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। নতুন করে কোয়ারান্টিন করা হতে পারে, বাইরে বেরনো নিষিদ্ধ হলে কী হবে, ভেবে আতঙ্কে রয়েছেন সকলে।


আরও পড়ুন: Supreme Court: টিএন শেষন একজনই, মাথা না নোয়ানো কাউকে চাই, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল কোর্টের


করোনা সংক্রমণের জেরে উদ্ভুত অতিমারি তিন বছরের সময়কাল পূর্ণ করতে চলেছে। তার পরও লকডাউন, নিভৃতবাস না ওঠায় চিনের নাগরিকরাও হতোদ্যম হয়ে পড়েছেন। তার জেরে জায়গায় জায়গায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভও মাথাচাড়া দিচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে, বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির উৎপাদনক্ষমতা ফের ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সকলে।


করোনা নিয়ে প্রায় তিন বছর কাটতে চলল


তবে এই আশঙ্কা যে একেবারেই অমূলক নয়, তার ইঙ্গিতও মিলছে। কারণ দীর্ঘ বিধি-নিষেধের জেরে চিনবিমুখ হয়ে পড়েছে বহু আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা এতদিন উৎপাদনের জন্য বেজিংয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। বিপুল ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।