বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: পারিবারিক বিবাদের জেরে ভাইয়ের হাতে খুন দাদা। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামরাইপুরের রিশা গ্রামে। মৃতের নাম সুকুমার আড়ি। মৃতের পরিবারের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে দাদা আর ভাইয়ের বিবাদ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, গতকাল দাদার নাতনিকে মারতে যান ভাই। বাধা দিলে মুগুর দিয়ে দাদার মাথায় বাড়ি মারেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দাদার। 


পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদাকে খুনের অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গতকাল খড়গপুর লোকাল থানা এলাকার শ্যামরাইপুরের রিষা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 


পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর লোকাল থানা এলাকার শ্যামরাইপুরের রিষা গ্রামে। স্থানীয় সূত্র খবর, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ ছিল সুকুমার আড়ির সঙ্গে তাঁর ভাই সঞ্জয় আড়ির। বুধবার সুকুমারের ছোট নাতনিকে কোনও কারণে মারতে যান সঞ্জয়। 


অভিযোগ, সেইসময় সুকুমার বাধা দিলে তাঁর মাথায় মুগুর দিয়ে আঘাত করেন সঞ্জয়। খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সুকুমারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্‍সকরা। মৃতের মেয়ে সুজা খামরুই-এর কথায়, ভাইঝির পিছনে কাকা দৌড়োচ্ছিল।  বাবা বাধা দেয়। কাকা তখন রেগে গিয়ে বাবার মাথায় মুগুর দিয়ে মারে। মৃতের ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে মুগুরটিও। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সঞ্জয় আড়ির মাত্রাতিরিক্ত রাগ ও বদমজাজের জন্য পরিবারে অশান্তি লেগেই ছিল। বুধবার তারই চরম পরিণতি ঘটল। 


হাওড়ায় একই পরিবারে একাধিক খুন: পারিবারিক বিবাদের জেরে শাশুড়ি, ভাসুর, জা ও ভাসুরের কিশোরী কন্যাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে গৃহবধূর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে হাওড়া থানার এমসি ঘোষ লেনে। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী পল্লবী ঘোষ। পলাতক তাঁর স্বামী দেবরাজ। 


পুলিশের দাবি, জেরায় পল্লবী জানিয়েছেন, রাতে শৌচাগারে কল খুলে রাখা নিয়ে জা রেখা ও ভাসুর দেবাশিসের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। নিজের ৭ বছরের ছেলেকে দোতলার ঘরে বন্ধ করে কাটারি নিয়ে নীচে নেমে জা-ভাসুরকে কোপাতে শুরু করেন পল্লবী। বাধা দিলে শাশুড়ি মাধবী ও জায়ের মেয়ে ১৩ বছরের তিয়াসাকে এলোপাথাড়ি কোপান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪ জনের। বাঁচাতে গিয়ে জখম হন এক আত্মীয়। শুধুই পারিবারিক বিবাদ? নাকি সম্পত্তি বা অন্য কোনও আক্রোশে খুন? তদন্ত শুরু করে হাওড়া থানার পুলিশ।


পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় পল্লবীর দাবি, তাঁর স্বামী বাড়ি ছিলেন না। একাই খুন করেছেন ৪ জনকে। রেগে গেলে যা ইচ্ছে তাই করতে পারি। এমনকি নিজেকেও মারতে পারি, পুলিশের কাছে দাবি পল্লবীর। ধৃত মহিলার আচরণ স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।