নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদির পদার্পণের পর থেকেই জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে উত্তরাখন্ডের কেদারনাথের রুদ্র ধ্যানকেন্দ্রের গুহার। ২০১৮-য় রুদ্র মেডিটেশন কেভ জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী একদিন কাটানোর পর থেকেই সেই গুহা দর্শনের চাহিদা বেড়েছে। এতটাই যে, এই প্রথম আগাম বুকিং হয়েছে।
গত মে মাসে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্বের একেবারে শেষের দিকে রুদ্র গুহায় একটি দিন ধ্যানে বসেন মোদি। কেদারনাথ মন্দির থেকে মাত্র এক কিমি দূরে ওই গুহা। সেটি দেখভাল করে গারোয়াল মন্ডল বিকাশ নিগম।
কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ পটেল সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ভারতে পর্যটন ক্ষেত্রের সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওঁর উপস্থিতি দারুণ সাড়া ফেলে। যেখানেই উনি যান, সবার নজর কেড়ে নেন। এ বছর তিনি যে রুদ্র গুহা দর্শন করেন, সেখানে প্রচুর পর্যটক যাচ্ছেন। দেশের পর্যটন শিল্পের কাছে এটা বিরাট ব্যাপার। আমি শুনেছি রুদ্র গুহা দর্শনের জন্য এই প্রথম আগাম বুকিং হয়েছে।
পরিসংখ্যানে প্রকাশ, মোদির ওই গুহা সফরের পরই সেখানে মে মাসে চারটি, জুনে ২৮টি, জুলাইয়ে ১০টি, আগস্টে ৮টি বুকিং ছিল। সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের জন্য যথাক্রমে ১৯ ও ১০টি আগাম বুকিং করেছেন পর্যটকরা। সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, দেওয়ালি পর্যন্ত প্রচন্ড ঠান্ডা পড়লেও আরও বুকিং আসবে বলে তাঁরা আশাবাদী, জানিয়েছেন নিগমের জনৈক কর্তা। তারপর সামনের বছরের মে মাসের বুকিং নেওয়া হবে।
ওই গুহায় রাত্রিযাপনের বুকিং মিলবে ১৫০০ টাকায়, সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গুহায় থাকার খরচ ৯৯৯ টাকা।
ওই কর্তাটি জানিয়েছেন, যেহেতু গুহাটির অবস্থান প্রত্যন্ত অঞ্চলে এবং সেখানে নির্জনে ধ্যানমগ্ন থাকাই মূল উদ্দেশ্য, তাই সেখানে একজনই থাকতে পারেন। গুহায় বসে বাইরের দুনিয়া থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন থাকা গেলেও জরুরি দরকারে যোগাযোগ করার জন্য একটি ফোন রয়েছে। অতিথিদের জন্য সেখানে বিদ্যুত্, পানীয় জলের বন্দোবস্ত আছে। অ্যাটাচড টয়লেট, হিটারও আছে। অতিথিরা সকালের চা, প্রাতঃরাশ, লাঞ্চ, বিকালের চা, নৈশভোজও পাবেন। গুহায় রয়েছে একটি ঘন্টাও যা বাজিয়ে অ্যাটেন্ডেন্টকে ডাকা যাবে। সাতদিন ২৪ ঘন্টার জন্য কর্মীর বন্দোবস্তও আছে অতিথিদের দেখভালের জন্য।