নয়াদিল্লি: একবছর আগে থেকে তুঙ্গে প্রস্তুতি। প্রচারে, আয়োজনে কোনও খামতি নেই। কিন্তু সেই G20 সম্মেলন নিয়েই এ বার পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। কাশ্মীরে G20 সম্মেলনের (G20 Summit) ঘোর বিরোধিতা করল চিন। 'বিতর্কিত' কাশ্মীরে আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দেবে না বলে জানাল তারা। তুরস্ক এবং সৌদি আরব সম্মেলনে নাম নথিভুক্তই করাল না। G20 সম্মেলন কোনও বিতর্ক কাম্য নয়, তাতেই কাশ্মীরে সম্মেলন আয়জনের বিরোধিতা বলে জানিয়েছে চিন (G20 in Kashmir)। 


শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, "G20 সম্মেলনকে যে কোনও রূপে বিতর্কিত এলাকায় চেনে নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে চিন। এই ধরনে কোনও সম্মেলনে চিন যোগ দেবে না।" এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। দিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, নিজের দেশের যে কোনও এলাকায় সম্মেলন আয়োজনের অধিকার রয়েছে ভারতের। চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।"


আগামী ২২ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে G20 ট্যুরিজম ওয়র্কিং গ্রুপের সম্মেলন রয়েছে। তার জন্য আঁটোসাটো নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। মোতায়েন হয়েছে মেরিন কম্যান্ডো, ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডস। আকাশপথেও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে বিশেষ মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর, বিভাজন ঘটিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দুই পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের পর, এই প্রথম কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক কোনও সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে। 


আরও পড়ুন: Sundar Pichai: নিজের কেনা প্রথম সম্পত্তি, বিক্রি হয়ে গেল সেই বাড়ি, হাতবদলের মুহূর্তে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সুন্দর পিচাইয়ের বাবা


শ্রীনগরে আয়োজিত এই সম্মেলনে G20 সম্মেলনে বিভিন্ন সদস্য দেশ থেকে ৬০ জন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা। সবমিলিয়ে ১০০ জন হাইপ্রোফাইল অতিথির সমাগম ঘটবে। তার আগেই, চিন সম্মেলন থেকে নাম তুলে নিল। নাম নথিভুক্ত করাল না তুরস্ক এবং সৌদি আরব। যদিও ২২ মে পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। তাদের এই অবস্থানে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।


এ বছর ভারতে G20 সম্মেলনের আয়োজন হচ্ছে। আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, তুরস্ক, ব্রিটেন, আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের যোগ দেওয়ার কথা। চিন, তুরস্ক এবং সৌদি আরব ছাড়া বাকি সকলে নাম নথিভুক্ত করিয়ে নিয়েছে। 


এখানে চিনের আপত্তির কারণ পাকিস্তানে সঙ্গে তার সুসম্পর্ক বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল। কারণ কাশ্মীর প্রশ্নে বরাবর পাকিস্তানের প্রতি নরম থেকেছে চিন। আবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব হওয়ার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল তুরস্ক। সৌদি আরবের সঙ্গে এ যাবৎ সম্পর্ট টাল না খেলেও, বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পয়গম্বর মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে মনোমালিন্যের পরিস্থিতি তৈরি করে।