পটনা: বিহারের গয়া জেলার ঘটনা। গণধর্ষণের বিচারে নির্যাতিতাকেই শাস্তি দিল পঞ্চায়েত। ১৫ বছরের কিশোরীকে ন্যাড়া করে ঘোরানো হল গোটা গ্রাম। ঘটনার কথা জানার পরই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ৫ জনই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। অভিযুক্তদের আদালতে পেশে করার পর তাদের ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এই ঘটনায় দ্রুত এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে রাজ্য মহিলা কমিশন। একই সঙ্গে পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্যকে সমন পাঠিয়ে তলব করেছে তারা।


বিহারের রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন দিলমণি মিশ্র জানিয়েছেন, “এটা অত্যন্ত গুরুগম্ভীর বিষয়। আমরা গয়ার এসএসপি-র কাছে দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছি। নির্যাতিতা বিচার পাক, এটাই আমরা চাই। পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে সমন পাঠিয়ে তাদের আমাদের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। কিশোরীর সঙ্গে কেন এমন অমানবিক ঘটনা ঘটানো হল, তার ব্যাখ্যা তাদের দিতে হবে।”


গত ১৪ অগাস্ট গ্রাম থেকেই ওই কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার দিন দুয়েক পর কিশোরী তার পরিবারকে গোটা ঘটনার কথা জানায়। এরপর বিচারের দাবি নিয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতার পরিবার। সেখানে অভিযুক্তদের বিচার করা তো দূরের কথা, উল্টে নির্যাতিতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়। ন্যাড়া করে ওই কিশোরীকে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। সপ্তাহখানেক পর এই গোটা ঘটনার কথা টেলিফোনে পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে জানায় নির্যাতিতার পরিবার। তারপরই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ২৬ তারিখ, নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। মেডিক্যাল পরীক্ষার পর নির্যাতিতা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তার বক্তব্য জানিয়েছেন। নির্যাতিতা এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।