‘বাংলার বাঘ’ ছদ্মনামে কাজ করত জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহাঁ, ধৃত জঙ্গি ইজাজকে জেরায় উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য !
Web Desk, ABP Ananda | 28 Aug 2019 10:16 AM (IST)
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আইডি তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ইজাজ আহমেদ। ইজাজের কাছ থেকে আইইডি তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের বরাত দেওয়ার রশিদ মিলেছে। আর তা থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, বড় কোনও বিস্ফোরণের ছক থাকতে পারে এই শীর্ষ জামাত জঙ্গির।
বিহারের গয়া থেকে ধৃত শীর্ষ জামাত জঙ্গি ইজাজ আহমেদকে জেরা করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স জানতে চাইছে, জেএমবি নেতা সালাউদ্দিন সালেহাঁ কোথায় ? ধৃত ইজাজ আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন তথ্য সালাউদ্দিনের হয়ে সব কাজ করত আব্দুল করিম। এই সালাউদ্দিনের ছদ্মনাম ‘বাংলার বাঘ’! এখন তার খোঁজ পেতেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। ভারতে কি বড়সড় বিস্ফোরণের ছক কষছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ? বিহারের গয়া থেকে ধৃত শীর্ষ জামাত জঙ্গি ইজাজ আহমেদকে জেরা করে এখন এই প্রশ্নেরই উত্তর পেতে মরিয়া কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। সোমবার তাকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার ইজাজকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হয় কলকাতায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আইডি তৈরিতে সিদ্ধহস্ত ইজাজ আহমেদ। ইজাজের কাছ থেকে আইইডি তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচামালের বরাত দেওয়ার রশিদ মিলেছে। আর তা থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, বড় কোনও বিস্ফোরণের ছক থাকতে পারে এই শীর্ষ জামাত জঙ্গির। পুলিশ জানতে পেরেছে, নানা নাম ব্যবহার করত ধৃত জামাত জঙ্গি। কখনও জিতু, কোথাও ইজাজ মৌলবী, আবার কখনও ডক্টরবাবু নাম নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিল ইজাজ। সেই সঙ্গে সংগঠনে নিয়োগের কাজও চালাত সে। সূত্রের খবর অনুসারে, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা থেকে যুবকদের রিক্রুট করত ইজাজ। শিমুলিয়া মাদ্রাসার সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল ধৃত এই শীর্ষ জামাত জঙ্গির। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভারতে জেএমবি সংগঠনের দায়িত্বে থাকা সালাউদ্দিন সালেহাঁ ও জেএমবি জঙ্গি কওসরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল ইজাজের। বিশেষ অ্যাপে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলত সালাউদ্দিন, কওসর ও ইজাজ। কিন্তু সম্প্রতি সালাউদ্দিনের সঙ্গে কওসরের মত পার্থক্য হয়। সূত্রের খবর, তখন কওসরের পক্ষ নেয় ইজাজ আহমেদ। পুলিশের দাবি, কওসরকে জেরা করেই হদিশ মিলেছে ইজাজের। মঙ্গলবার, ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে বিচারকের কাছে ধৃত ইজাজ দাবি করে, ২০১৬-র পর থেকে তার সঙ্গে জেএমবির কোনও যোগাযোগ নেই। ধৃতকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।