কলকাতা: আরও বাড়ল রান্নার (Cooking) গ্যাসের দাম (Gas Price)। ৩ টাকা বেড়ে ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের (Cylinder) দাম হল ১ হাজার ২৯ টাকা। ১২ দিনের মাথায় ফের দাম বাড়ল রান্নার গ্যাসের। এর আগে ৭ মে, ৫০ টাকা বেড়ে ভারতে (India) প্রথমবার হাজারের গণ্ডি পার করেছিল এলপিজি (LPG)-র দাম। পাশাপাশি, হোটেল-রেস্তোরাঁয় ব্যবহারের ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের দামও সাড়ে ৮ টাকা বেড়ে ২ হাজার ৪৫৪ টাকা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে ফের আমজনতার পকেটে টান।
পেট্রোপণ্য থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম তো বাড়ছিলই। এরই মধ্যে ঐতিহাসিক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দামও। পেট্রোলের দাম ১১৫ টাকার ওপরে। সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় ডিজেলও। মুরগির মাংস ২৭০টাকা কেজি। সরষের তেলের দাম প্রতি কেজি প্রায় ২০০ টাকা। অন্যান্য শাক-সবজির দামও দফায় দফায় বাড়ছে। এমনকি, আলুর দামও ঊর্ধ্বমুখী। সবমিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধির যাঁতাকলে মধ্যবিত্তর নাভিশ্বাস দশা।
আরও পড়ুন, 'ধমকালেই অ্যারেস্ট করিয়ে দেব, আর কত খাবে'? হুঁশিয়ারি ক্ষুদ্ধ মমতার
সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির আরও বোঝা এসে চাপল সাধারণ মানুষের ঘাড়ে। সীমিত আয়ে সংসার চালাতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছে সাধারণ মধ্যবিত্ত। আর শুধু যে পেট্রোল-ডিজেল কিংবা রান্নার গ্যাসই ভারতে ভয়ঙ্কর ইতিহাস গড়ছে তা নয়, গরিবের উপর ভয়াবহ বোঝা চাপিয়ে রকেট গতিতে বেড়েছে কেরোসিনের দামও।
একদিকে পেট্রোল-ডিজেলের সর্বকালীন দাম, তার জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসে হাত ছোঁয়ানো মুশকিল। আজ কার্যত একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, ব্যয় হু-হু করে বাড়ছে। এরই মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় আশঙ্কাকে সত্যি করে, বাড়ির ঋণের EMI বাড়াল HDFC, SBI। অন্যদিকে, দেশে বেকারত্বের হার এপ্রিল মাসে আরও বেড়ে ৭.৮৩ শতাংশে পৌঁছেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে, তারা যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল, তখন LPG গ্যাসে ভর্তুকি বাবদ প্রায় সাড়ে ৪৬ হাজার কোটি টাকা দিত কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষ থেকে তা শূন্যে নামিয়ে এনেছে মোদি সরকার।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। গ্যাসের দাম বাড়ছে। ওষুধের দাম বাড়ছে! কিন্তু, সেই তুলনায় রোজগার কী বাড়ছে? ফলে গ্যাসের দাম ফের বেড়ে চলায় আরও নাজেহাল জনসাধারণ।