আশাবুল হোসেন, রুমা পাল ও দীপক ঘোষ, মেদিনীপুর: দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ মন্ত্রীরা। তার মধ্যেই সংগঠনের ভিত মজবুত করার অুপর জোর দিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার মেদিনীপুরের কর্মিসভায় তাই মমতা বলেন, "দলে কেউ কেউকেটা নয়। যাঁরা মানুষের কাজ করবে না, ঘরে বসে যান। নই দলটাই খুব শিগগির ঘ্যাচাং ফু হয়ে যাবে।" তা নিয়ে তৃণমূল নেত্রীকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।


দলকে কড়া বার্তা মমতার


বুধবার মমতা যখন কর্মিসভার মঞ্চে, কলকাতায় তখন কার্যতই উথালপাতাল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পরেশ অধিকারী এবং পরেশ পালকে নিয়ে টানাপোড়েন চরমে। সেই সময়ই মমতাকে বলতে শোনা যায়, "আমি হলাম, আর আমি আমার মতো করে নিলাম, ঘ্যাচাং ফু হবে। কেটে দেব। এক সেকেন্ডে কেটে দেব।"


মেদিনীপুর কলেজ মাঠে আয়োজিত ওই সভা থেকে দলের নেতাদের সতর্কও করেন মমতা। তিনি বলেন, "আমি নই আমরা। একটা এমএলএ মানে, এলাকার যত তৃণমূলকর্মী আছে, যত সাধারণ মানুষ আছে, আমরা... সবাইকে নিয়ে চলতে হবে।"


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee News: তিনটি পয়েন্ট ধরে একাধিক প্রশ্ন, পার্থকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের


তৃণমূল সরকারের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে, প্রতি জেলায় বুথ স্তরের কর্মী সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করা এবং সংগঠন মজবুত করা এবং নিচুস্তরের দলীয় রাজনীতিতে রাশ টানতেই মমতার এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। 


মমতাকে কটাক্ষ বিরোধীদের


বার বার নেতা-কর্মীদের সম্পর্কের উপর জোর দিতেও দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীকে। এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "আমি, আমরা, আমাদের এসবের কোনও প্রয়োজন নেই। যা শুরু হয়ে গেছে চারিদিকে, সিঙ্গেল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ, চিফ জাস্টিস, সুপ্রিম কোর্ট, নিজাম প্যালেস, সিবিআই...ইডি, এসব চলতে থাকলে তো দলটাই খুব শীঘ্র ঘ্যাচাং ফু হয়ে যাবে।" সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, "উনি নিজেই তো আমি আমি করেন। উনি নিজেই তো আমি সর্বস্ব দল।"