গাজা : এক সপ্তাহ কেটে গেলেও অশান্তি থামছে না। সোমবার ইজরায়েলের সেনা দাবি করেছে, গাজা ভূখণ্ড থেকে তিন হাজারের বেশি রকেট ছুড়েছে জঙ্গী গোষ্ঠী হামাস। যদিও তাদের চেষ্টা বিফলে গেছে।


বন্ধ হওয়ার নাম নিচ্ছে না ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন অশান্তি। নতুন করে ইজরায়েল দাবি করেছে, হিংসা বাড়াতে ৩১৫০ রকেট ছোড়া হয়ছে গাজা ভূখণ্ড থেকে। যদিও আয়রন ডোমের মতো মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম থাকার কারণে বড়সড় ক্ষতি হয়নি ইজরায়েলের। ডিপিএ নিউজ এজেন্সি ইজরায়েলের সেনাকে কোট করে জানিয়েছে, ৪৬০টি রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে ছোড়া হলেও তা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। উল্টে আয়রন ডোমের জন্য গাজা সীমানার মধ্যেই পড়েছে সেগুলি। 


বিশ্বের অস্ত্র ভাণ্ডারের তুলনামূলক আলোচনায় আমেরিকা, চিন, রাশিয়ার পাশাপাশি রয়েছে ইজরায়েলের নাম। বিশেষ করে এদের আয়রন ডোম মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে অনেক দেশেই। মূলত, সেন্সিং রাডারের মাধ্যমেই বিপক্ষের মিসাইল প্রতিরোধ করতে পারে এই সুরক্ষা ব্যবস্থা। ইজরায়েলের সেনা দাবি করে, তাদের আয়রন ডোমের মিসাইল-রোধী ক্ষমতা ৯০ শতাংশ। 


তবে গাজা থকে ইজরায়লের দিকে এই অনবরত হামলা নিয়ে চিন্তায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিশর। ইতিমধ্যেই যুদ্ধ বিরতির জন্য প্যালেস্তাইন -ইজরায়েলকে বার্তা দিয়েছে মিশর। যদিও সাতদিন কেটে গেলেও বন্ধ হয়নি দু'পক্ষের রকেট হানা। ডিপিএ নিউজ এজেন্সির দাবি, ২০১৪ সালে ৫১ দিন চলে গাজার যুদ্ধ। সেই সময় সব মিলিয়ে ৪৪৮১টি রকেট ছোড়া হয়েছিল গাজা থেকে। এবার যদিও সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি। মাত্র এক সপ্তাহেই ইজরায়লের দিকে ৩১৫০ টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এমনই দাবি করেছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।


ইউএন প্যালেস্তাইন রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইজরায়েলি হানায় গাজা ভূখণ্ডের কমপক্ষে ৪২,০০০ মানুষ বাড়ি ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। ৫০টি স্কুলে রাখা হয়েছে তাদের। ১০ মে থেকে লাগাতার রকেট হানায় ২৫০০ প্যালেস্তিনি ঘরছাড়া। বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় ফিরতে পারছেন না তাঁরা।


অশান্তির সূত্রপাত, পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জারা থেকে। কদিন আগেই আদালতের নির্দেশে প্যালেস্তিনিয়দের উচ্ছেদ করা হয় সেখান থেকে। যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইজরায়েলের পুলিশ দাবি করে, অল-অকসা মসজিদে ষড়যন্ত্র করতে তৈরি হচ্ছিল প্যালেস্তিনিয়রা। খবর পেয়ে আগেই সেখানে চলে যায় ইজরায়েলি পুলিশ। যার জেরে প্যালেস্তিনিয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। যাতে বহু প্যালেস্তিনিয় ও পুলিশকর্মী আহত হন। অল-অকসা মসজিদে ইজরায়েলি সেনার এই হানার বিরুদ্ধে বদলা নেওয়ার হুমকি দেয় হামাস। যার পরই জটিল হয়ে দাঁড়ায় পরিস্থিতি।