কলকাতা: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং লকডাউন বিধি লঙ্ঘন না করার আর্জি জানালেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে অভিষেক লেখেন, আমি সবার কাছে আর্জি জানাচ্ছি আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে  বাংলা এবং বাংলার মানুষের স্বার্থে লকডাউনের বিধি পালন করুন। বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আইনের সাহায্য় নিয়েই আমরা এই লড়াই করব।



 


সপ্তাহের প্রথম দিনই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এদিন সকালে প্রথমে ফিরহাদ হাকিম পরে সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। নারদকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক সহ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়রকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রণক্ষেত্র নিজাম প্যালেস। দফায় দফায় ইট বৃষ্টি। ইট ছোড়া হয় সিবিআই দফতরকে লক্ষ্য করে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তি তৃণমূল কর্মীদের। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন নেতা কর্মীরা। ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তাঁরা। পরে রাজভবনের সামনেও বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। 


আজ সকালে আচমকাই বাড়িতে গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় দুই মন্ত্রী-সহ চারজনকে। এরপর নিজাম প্যালেসে তুলে নিয়ে গিয়ে অ্যারেস্ট মেমোতে সই করানো হয়।  আর এই অবস্থায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। প্রথমে এজিসি বোস রোডে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। এই অবস্থায় তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাইরে থেকে রাজ্য পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এরপরই বিক্ষোভের আঁচ গিয়ে পড়ে রাজভবনে।


অন্যদিকে, নিজাম প্যালেসে সিবিআই অফিসের ১৫ তলায় ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বসে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর সঙ্গে। এই গ্রেফতারি বেআইনি, গ্রেফতার করা হোক তাঁকেও, সিবিআই অফিসারদের জানান মুখ্যমন্ত্রী, দাবি তৃণমূল নেতা অনিন্দ্য রাউতের। পরে সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশকুমার সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজাম প্যালেসে যান জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মাও। কিছুক্ষণ থেকে বেরিয়ে যান তিনি।