গাজল: দল বদলের স্রোতে এবার পা মেলাতে চলেছেন দিপালী বিশ্বাস। হলদিয়ার সিপিএম বিধায়ক তাপসী মণ্ডলের শনিবার অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগদানের জোরাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই আবহে উঠে আসছে গাজলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাসের নামও। ২০১৬ সালে সিপিএমের টিকিটে জেতা গাজলের বিধায়ক দিপালী বিশ্বাস। যিনি এখন তৃণমূলে। তাঁরও শিবির বদলানোর সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
অমিত শাহর বঙ্গ সফরের মধ্যেই কি মালদায় বিধায়ক হারাতে পারে তৃণমূল? গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাসের স্বামী রঞ্জিৎ বিশ্বাসের দলত্যাগের পর এই জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিধায়কের স্বামীর দলত্যাগ নিয়ে মালদা জেলা তৃণমূলের অন্দরের বিরোধ সামনে এসেছে।
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মালদহে ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয়েছিল বাম-কংগ্রেস। তৃণমূল কোনও আসন পায়নি। এরপরই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরাতে তৎপর হন তৎকালীন জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরে সিপিএম ছেড়ে ২১ জুলাইয়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দেন গাজলের বিধায়ক দীপালি। সম্ভবত এবার শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূল হয়ে সম্ভবত এবার বিজেপির পথে দীপালি।
শুক্রবারই দীপালির স্বামী রঞ্জিৎ বিশ্বাস তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর এরপরই গাজলের বিধায়কেরও তৃণমূল ছাড়া ও বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে। গাজলের তৃণমূল বিধায়কের স্বামী রঞ্জিৎ বিশ্বাস বলেন, দল আমাকে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা রাখেনি। আমার বাড়ির সিকিওরিটি তুলে নেওয়া হয়েছে, যা সম্মানে লেগেছে, এই দলে থেকে কাজ করা সম্ভব নয়।
বিধায়কের স্বামীর দলত্যাগ নিয়ে মালদা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অন্দরেই ভিন্নসুর। মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম নুর বলেন, কিছু ক্ষোভ আছে, আলোচনা করব, ক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা করা হবে। জেলা কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, দলে ব্যবসা করতে এসেছিল, ব্যবসা ফুরিয়েছে তাই বিজেপিতে যাবে, এরা চলে গেলেই ভাল, দাঁড়ালেও গাজলে জিততে পারবে না।
এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূল খোঁচা দিয়ে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, যে হারে তৃণমূলের বিধায়করা ইস্তফা দিচ্ছেন, তাতে পদত্যাগপত্র সংগ্রহের জন্য পিসির অফিসে আলাদা কাউন্টার তৈরি করা উচিত। বারাসাত তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, তৃণমূলের ক্ষতি হবে না।