পটনা: গরু চুরির সন্দেহে বুধবার পটনার কাছে এক মুসলিম ব্য়ক্তিকে গণপিটুনি দিয়ে মারল উত্তেজিত জনতা। অভিযোগনামায় যে ৬ জনের নাম রয়েছে, তাদের সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পটনার কাছে ফুলওয়ারশরিফে বুধবার মাঝরাতে প্রায় তিনটে নাগাদ গোয়ালে বেঁধে রাখা একটি মহিষের দড়ি খুলে দিতে দেখা যায় মহম্মদ আলমগীর নামে নিহত সন্দেহভাজন গরুচোরকে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে কয়েক ঘণ্টা ধরে মারধর করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি চম্পট দেন। বুধবার অপরাহ্নে হাসপাতালে মারা যান মারাত্মক জখম আলমগীর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, আলমগীরকে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয়। তাঁকে জখম অবস্থায় ফেলে চলে যায় নিগ্রহকারীরা। কয়েক ঘণ্টা তিনি সেখানেই পড়ে থাকেন। পুলিশ যতক্ষণে আসে, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
২০১৭ সালে, স্বঘোষিত গোরক্ষক বাহিনীর হাতে তার আগের তিনটি বছরে পরপর বেশ কয়েকটি গরু চুরির সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনার পর মুখ খুলে এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গরুর প্রতি ভক্তি-ভালবাসা দেখাতে গিয়ে মানুষ হত্যা কোনওমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তার তেমন প্রভাব বাস্তবে দেখা যায়নি। গত দেড় মাসে বিহার থেকে বেশ কয়েকটি গণপিটুনির অভিযোগ এসেছে। ২০১৯য়ের জুলাইয়েও রাজ্যে গরু চোর বলে চিহ্নিত করে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।