আবীর দত্ত ও পার্থপ্রতিম ঘোষ (কলকাতা): মোমিনপুরে নাবালিকা গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, আগে থেকে পরিকল্পনা করেই গণধর্ষণ করা হয়। একবালপুর থানা এলাকার মোমিনপুরে ফাঁকা ফ্ল্যাটে ১২ বছরের মেয়েকে গণধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় শহর। ওই নাবালিকা পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা। সে নিজেই শুক্রবার পর্ণশ্রী থানায় গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ করে। ইতিমধ্যে পকসো আইনে মামলা হয়েছে। ওই সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বয়ান অনুযায়ী পুলিশ শুক্রবার গ্রেফতার করে তার বয়ফেন্ড অমরজিত্‍ চৌপাল ওরফে রাহুলকে। গ্রেফতার করা হয় অমরজিতের বন্ধু মনোজ শর্মা এবং বিকাশ মল্লিককে। সেইসঙ্গে বিকাশের আত্মীয় ঋত্মিক রামকেও পাকড়াও করে পুলিশ। ধৃত চার অভিযুক্তকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ফ্ল্যাটের মালিককেও। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ফ্ল্যাট মালিক গণধর্ষণের পরিকল্পনার কথা জানতেন।
কীভাবে ঘটল ওই ঘটনা? পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে অমরজিত্‍ নির্যাতিতা ও মনোজকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে যান। বিকাশ ও ঋত্বিক আগে থেকেই ফ্ল্যাটে ছিলেন।
বিকাশের বয়স ২৪। তিনি পেশায় ডান্স ট্রেনার বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ২ বছর আগে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন বিকাশের এক পরিচিত।
তার আশপাশে কয়েকজনকে ঘটনার দিন ব্যাগ নিয়ে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন মোমিনপুরের এক স্থানীয় বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। তার আগে চারজনে মদ্যপান করেন। মদ খাওয়ানো হয় ওই নাবালিকাকেও। তারপরই ঘটে গণধর্ষণ।
পুলিশের দাবি, ৭ দিনের মধ্যে গণধর্ষণ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হবে।
কীসের লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে ফ্ল্যাটে আনা হয়েছিল? কোনও ডান্স গ্রুপে সুযোগ করিয়ে দেওয়ার লোভ দেখানো হয়েছিল? নাকি অন্য কিছু? এ সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।