নয়া দিল্লি : ফি বছর ভারতে টিবি-তে(যক্ষ্মারোগ) অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। দারিদ্র ও অপুষ্টি এর অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়। সেদিকে নজর রেখে ২০২৫-এর মধ্যে দেশকে টিউবারকুলোসিস-মুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। সোমবার একথা জনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। 


আজ সংসদ ভবনে বক্তব্য রাখার সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লক্ষ্য ভারতকে ২০২৫-এর মধ্যে টিবি-মুক্ত করা। সেই অনুযায়ী একটা সচেতনতামূলক অভিযান চালানো হয়েছে। উন্নয়নের সঙ্গে স্বাস্থ্যকে কখনোই জোড়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে, স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা বিস্তীর্ণ হয়েছে। আগামী দিনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দেশকে আরও শক্তসামর্থ্য করে তোলা হবে।


লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা এপ্রসঙ্গে জানান, তিনি আশা করেছিলেন, এই রোগের দূরীকরণে কোনও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি পদক্ষেপ নিশ্চিত করবেন। 


তিনি বলেন, এই মারণ রোগকে দেশ থেকে নির্মূল করার সময় এসে গেছে। টিবি-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয় নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। যক্ষ্মারোগের প্রধান দুটি কারণ- দারিদ্র ও অপুষ্টি। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এই রোগ দূরীকরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিশ্চিত করা উচিত।


রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নাইডুও এই রোগের দিকে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, যদি সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার, সাংসদ এবং আধিকারিকরা এক্ষেত্রে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেন এবং এটা জন আন্দোলনে পরিণত করতে পারেন, তবে ২০২৫-এর মধ্যে এই রোগ দূরীকরণ করা খুব একটা অসুবিধা হবে না। গড় আয়ু এখন বেড়ে হয়েছে ৬৯.৪ বছর, যা ১৯৫০ সালে ছিল ৩৫ বছর। 


এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতে যক্ষ্মা রোগের ৬৫ শতাংশই ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে। যা অর্থনৈকভাবে সবথেকে উৎপাদনশীল সেগমেন্ট। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ষক্ষ্মা রোগের ৫৮ শতাংশই গ্রামীণ এলাকার। 


অনুষ্ঠানে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ারও। তিনি এই কোভিড অতিমারির সময় টিবি-র বিরুদ্ধে লড়াই কতটা কষ্টকর সেবিষয়টি উল্লেখ করেন।