শুক্রবার শেয়ার বাজার খোলার ১৫ মিনিটের মধ্যেই বিপুল ধসের ধাক্কায় বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা স্রেফ উবে গিয়েছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে শেয়ার সূচকে ১০ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। শুক্রবার বাজার খোলার কিছুক্ষণ বাদেই ৩০টি শেয়ারের বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক সেনসেক্স ৩৩৮০.৫৯ পয়েন্ট বা ১০.৩১ শতাংশ পড়ে থামে ২৯৩৯৭.৫৫ পয়েন্টে। সেখান থেকে আরও পড়ে হয় ৩৩৮৯.১৭ পয়েন্ট। ৪৫ মিনিট লেনদেন বন্ধ থাকে। বিশ্বব্যাপী শেয়ার বেচে দেওয়ার ধুম, তার সঙ্গে লাগাতার বিদেশি তহবিল খালি হওয়া-বিনিয়োগকারীদের ভাবনায় প্রভাব ফেলেছে বলে মত ট্রেডারদের।
ধাক্কা লেগেছে আন্তর্জাতিক বাজারেও। সাংহাইয়ের শেয়ার বাজারে পতন হয় ৩.৩২ শতাংশের ওপর, হংকঙ ৫.৬১ শতাংশ, সিওলের বাজারে ৭.৫৮ শতাংশ ধস নামে।
বিশ্বব্যাপী ১১৬টি দেশে নোভেল সংক্রমণের ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি ঘটনার কথা জানা গিয়েছে। অন্তত ৪৯০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতেও মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৫। প্রায় সব ভিসা মাসখানেকের জন্য বাতিল করা হয়েছে। ফলে কার্যত অঘোষিত অচলাবস্থা বা লকডাউনের দিকে যাচ্ছে দেশ। বিদেশ থেকে বিমানবন্দরগুলিতে নামা লোকজনের স্ক্রিনিং চলছে। পরীক্ষা চলছে সমুদ্র বন্দরগুলিতেও। প্রচুর জনসমাগম হয়, এমন সব ধরনের কর্মসূচি, অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফের ট্যুইট করে বললেন, আমাদের এই গ্রহ কোভিড-১৯ নোভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়ছে। নানা স্তরে সরকার ও জনসাধারণ তাদের সেরা উদ্যম ঢেলে এর সঙ্গে লড়ার চেষ্টা করছে। গোটা দুনিয়ার জনসংখ্যার একটা বড় অংশ থাকে দক্ষিণ এশিয়ায়। আমাদের জনসমাজ যাতে সুস্থ থাকেন, তা সুনিশ্চিত করতে কোনও চেষ্টাই বাদ দেওয়া উচিত নয়। আমার প্রস্তাব, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সার্কভুক্ত দেশগুলির নেতৃত্ব একটা শক্তিশালী কৌশল তৈরি করুন। আমাদের নাগরিকদের সুস্থ রাখতে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আলোচনা করতে পারি আমরা। একজোট হয়ে আমরা গোটা বিশ্বের সামনে নজির স্থাপন করে আরও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ায় কিছু অবদান রাখতে পারি।