রাজ্য জুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা ও ক্রমবর্ধমান হিংসার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশকর্তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনকড়। সেই নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর ট্যুইটও করেন তিনি। অবশেষে তাঁকে জানানো হয়, বুধবার রাজভবনে দেখা করতে যাবেন ডিজিপি ও রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেই অনুযায়ী আজ দুপুরে রাজভবনে যান দুজনেই। তারপরই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল।
তিনি বলেন,
- সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সমর্থনে পাশ হয়েছে। আমরা ভারতের নাগরিক, এই আইন মান্য করা উচিত। আইনের বিরোধিতায় অশান্তি করা অপরাধ। রাজ্যের সব মানুষকে এই আইন মেনে চলতে অনুরোধ করছি।


-এই আইনে দেশে কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। না জেনে কিছু মানুষ ভুল তথ্য দিয়ে অশান্তি ছড়াচ্ছেন। মালদা ও মুর্শিদাবাদের ঘটনায় আমি ব্যথিত।  আমি এই দুই জেলার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে চাই।
- মুখ্যসচিব, ডিজিপি আমায় তথ্য দিয়েছেন। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমি দুই জেলায় যেতে চাই। শান্তি রক্ষার্থে নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি। সবাই মিলে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে।

- আশা করি প্রশাসন আমাকে যেতে দেবে। সাংবিধানিক বা প্রশাসনিক পদে থাকলে এই আইন মানা বাধ্যতামূলক। রাজনীতিবিদরা কী করবেন সেটা তাঁদের বিষয়।

-আশা করি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ করবে। আশা করি মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন। রাজ্যের উন্নতির স্বার্থে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ।

- আমি সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে সংবিধান মেনেই মন্তব্য করি। নিঃসন্দেহে রাজ্য প্রশাসন একজন চালাচ্ছেন একজন আয়রন লেডি। কিন্তু রাজ্যপালের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ।