মুম্বই: মহারাষ্ট্রে তাদের সরকার গড়ার দাবি পেশ করতে অতিরিক্ত সময়ের আর্জি মঞ্জুর না করায় রাজ্যপাল ভগত্ সিংহ কোশিয়ারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে শিবসেনা। সময়সীমার মেয়াদ ৪৮ ঘন্টা বাড়ানোর আবেদন করেছিল তারা। কিন্তু তা না মেনে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিকে (এনসিপি) সরকার গঠনের দাবি পেশ করতে গতকাল আমন্ত্রণ জানান কোশিয়ারি। সেই সময়সীমা ছিল আজ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। যদিও তা পেরনোর আগেই তিনি রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন, যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেয়েছে। আজ মোদী মন্ত্রিসভাও রাজ্যপালের সুপারিশে সম্মতি দিয়ে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে মত দেয়। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর ২০দিন পরও সেখানে সরকার গঠন হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যপালের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ জানিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’, ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, ‘অসাংবিধানিক’ বলেছে তারা। শীর্ষ আদালতে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবল শিবসেনার হয়ে মামলা লড়বেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যপাল বিজেপির ইচ্ছায় চলছেন বলে দাবি করেছে শিবসেনা। তাদের পিটিশনে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল বিজেপিকে ৪৮ ঘন্টা সময় দিলেও শিবসেনাকে মাত্র ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন দুই সম্ভাব্য সমর্থনকারী দল কংগ্রেস ও এনসিপির থেকে সমর্থনের চিঠি জোগাড় করতে। কিন্তু রাজ্যপাল বিজেপির কথা শুনে তাদের সরকার গড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করতে তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছেন।
এদিকে শিবসেনার পিটিশনের শুনানি আজ হয়নি। শিবসেনার আইনজীবী সুনীল ফার্নান্ডেজ বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রি জানিয়েছে, কাল তারা আদালতে বিষয়টি উল্লেখ করে দ্রুত শুনানি চাইতে পারে। রাষ্ট্রপতির শাসন জারির পদক্ষেপ চ্যালেঞ্জ করে নতুন বা দ্বিতীয় একটি পিটিশন তৈরি করা হচ্ছে। সেটি কখন পেশ হবে, তা ঠিক হবে আগামীকাল।
শনিবার মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্যপাল তিন দলকেই সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান। বিজেপি ক্ষমতা বন্টন নিয়ে বিবাদ মেটাতে না পেরে সরকার গঠনের দাবি পেশ করা থেকে সরে যায়। রাজ্যপাল শিবসেনাকে ডাকেন। কিন্তু গতকাল তিনি শিবসেনার বাড়তি সময়ের আবেদন নাকচ করেন। ডাকেন এনসিপি-কে। কিন্তু কংগ্রেস বা এনসিপি, কারও হাতেই সরকার গঠনের প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক নেই। শিবসেনার সাহায্য চাই।