নয়াদিল্লি: শহর কলকাতার বুকেই সংগ্রামী জীবনের সূচনা। মহাত্মা গান্ধীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন প্রতি পদে। ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপনেও ছিল অবদান। দেশের প্রথম  ভারতীয় গভর্নর জেনারেল  তথা ওই পদের সর্বশেষ অধিকারী, চক্রবর্তী রাজাগোলাচারীর (Chakravarti Rajagopalachari) প্রপৌত্র সিআর কেশবন (C R Kesavan) এ বার কংগ্রেস ছাড়লেন। যোগদানের প্রায় দু’দশক পর কংগ্রেসের (Congress Party) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন তিনি।


দেশের প্রথম  ভারতীয় গভর্নর জেনারেল  তথা ওই পদের সর্বশেষ অধিকারী, চক্রবর্তী রাজাগোলাচারী


বৃহস্পতিবার ট্যুইটারে কংগ্রেস ছাড়ার কথা জানিয়েছেন কেশবন। কংগ্রেসের সদস্যপদ ছাড়া পাশাপাশি, তামিলনাড়ু প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি চ্যারিটেবল সংগঠন থেকেও সরে এসেছেন। দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গেকে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। দলের বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পেরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাতে। তাতে কংগ্রেসের অন্দরে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়ে।






আরও পড়ুন: LIC Plan: দ্বিগুণেরও বেশি রিটার্ন, এলআইসির এই পলিসিতে ৩টি বড় সুবিধা


এ দিন ট্যুইটার পোস্টে কেশবন লেখেন, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস থেকে নিজের পদত্যাগপত্র জুড়ে দিলাম। জয় হিন্দ’। খড়্গেকে লেখা চিঠিতে পদত্যাগের যে কারণ জানিয়েছেন কেশবন, তা হল, 'দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, বেশ কিছু দিন ধরে সেই মূল্যবোধ খুঁজে পাচ্ছি না, যার জন্য দীর্ঘ দু'দশকেরও বেশি সময় দলের কাজে উৎসর্গ করেছিলাম। সুস্থ বিবেকবোধ থেকে বলতে পারি না যে, বর্তমানে দলীয় নীতির সঙ্গে সর্বদা একমত'।


একসময় কংগ্রেস ত্যাগ করে নিজের স্বতন্ত্র পার্টি গড়েছিলেন গোপালাচারী।  কেশবন জানিয়েছেন, এ বার নয়া রাস্তা ধরার সময় এসেছে তাঁর। তাঁর অন্য দলে যোগদানের সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন যদিও বা শুরু হয়ে থাকে, এখনও পর্যন্ত কারও সঙ্গে তাঁর কোনো কথা হয়নি, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা এখনও ঠিক করেননি বলেও জানান তিনি।


কংগ্রেস ত্যাগ করে নিজের স্বতন্ত্র পার্টি গড়েছিলেন গোপালাচারীও


তবে কেশবন জানিয়েছে, রাজনীতির মঞ্চ ভিন্ন হলেও, দেশের সেবাতেই নিযুক্ত থাকবেন তিনি। আত্মসম্মানের সঙ্গে, পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া দেশকে রক্ষা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন। ২০০১ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন কেশবন। বৃহস্পতিবার পদত্যাগের কথা জানালেন।