ভদোদরা : করোনা আবহে দেখা গেছে অনেক বিরল ঘটনা। এবার প্রকাশ্য়ে এল আরও একটি ঘটনা। যা সত্যিই নজিরবিহীন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ৩২ বছরের এক যুবকের স্পার্ম সংগ্রহ করে সংরক্ষিত রাখল ভদোদরার একটি বেসরকারি হাসপাতাল। স্ত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে এই মর্মে গুজরাত হাইকোর্ট অনুমতি দেওয়ার পরই স্পার্ম সংগ্রহ করে ওই হাসপাতাল। অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজির(ART) মাধ্যমে মৃতপ্রায় স্বামীর স্পার্ম নিয়ে সন্তান ধারণের জন্য এই আবেদন জানান মহিলা। 


২০২০ সালের অক্টোবরে তাঁদের বিয়ে হয়েছে। কানাডায় থাকেন ওই দম্পতি। স্বামীর বাবার হার্টের গুরুতর অবস্থার জন্য এবছর মার্চেই তাঁরা ভারতে ফিরেছিলেন।  


করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর গত ১০ মে থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক। তাঁর মাল্টিপল অর্গান ফেলিওর হয়েছে। ইসিএমও সাপোর্টে রয়েছেন। মাস আটেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। স্বামীর এই অবস্থা দেখে হতাশ হয়ে পড়েন ওই যুবতী। চিকিৎসকরা তাঁকে জানান, ২৪ ঘণ্টার বেশি তাঁর স্বামী বাঁচবে না। এর পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনই খবর। ওই মহিলা এবং তাঁর শ্বশর-শাশুড়ি এই মর্মে জরুরি শুনানির আবেদন জানান। ২০ জুলাই শুনানির আবেদন জানান তাঁরা।


আদালতে কাছে তাঁরা আবেদনে বলেন, চিকিৎসাধীন যুবকের স্পার্ম সংগ্রহের জন্য তাঁরা ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানান, এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ প্রয়োজন। কারণ, রোগী অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। তাই তিনি সম্মতি দিতে পারবেন না। ওই মহিলার তরফে আইনজীবী আদালতে বলেন, কর্তৃপক্ষের তরফে এভাবে মৌখিক নাকচ করাটা স্ত্রীর অধিকার-বিরুদ্ধ।


আদালত এই মর্মে আবেদন সম্মতি দেয় যে, রোগীর কাছ থেকে এই মুহূর্তে সম্মতি নেওয়া কার্যত অসম্ভব। তাই হাসপাতালকে নমুনা সংগ্রহের জন্য  IVF/ART পরিচালনার অনুমতি দেয় আদালত। আদালত এও জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট স্যাম্পেল ঠিক জায়গায় সংগ্রহ করে রাখতে হবে।