ভডোডরা:  জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত উদযাপনের জন্য আয়োজিত একটি মিছিলে যোগ দিলেন গুজরাতের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

'দেশ গঠনে'র অভিযান আখ্যা দিয়ে ভডোডরার মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি হোয়াটস্যাপ মেসেজের মাধ্যমে  ৪৫ হাজার পড়ুয়াকে 'ভারত একতা মিছিলে' যোগ দিতে বলেছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আসা প্রায় ২৪ জন ।

রবিবারের সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি  'দেশে দুটি সংবিধান ও দুটি পতাকা'র জন্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, 'এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাজ হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে জম্মু ও কাশ্মীরের সঙ্গে যুক্ত করে একে ভারতের অবিচ্ছদ্য অঙ্গ করে তোলা। এজন্য সংসদে ইতিমধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে'।

ভডোডরা নাগরিক সমিতির পক্ষ থেকে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

এর আগে বরোদার প্রাক্তন মহারাজা সমরজিতসিন গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বে ৩৭০ ধারা বিলোপের সমর্থনে পদযাত্রা 'ভারত একতা কুচ যাত্রা'র সূচনা করেন রূপানি।

মহারাজা সায়াজিরাও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হোয়াটস্যাপে মেসেজের মাধ্যমে পড়ুয়া ও কর্মীদের এই মিছিলে যোগ দানের আর্জি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নবীন ওঝা বলেছেন, পড়ুয়া ও কর্মীদের আর্জি জানিয়ে ওই মেসেজ পাঠানো হয়।

ওঝা বলেছেন, মিছিলে যোগদানে কোনওরকম বাধ্যবাধকতা ছিল না। এই অনুষ্ঠান দেশের স্বার্থে হচ্ছে এবং বিষয়টি সম্পর্কে তাদের আরও বেশি করে অবগত করার কথা মনে করেই পড়ুয়াদের তা জানানোর কথা ভাবা হয়।

পারুল বিশ্ববিদ্যালয় ও নভরচনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শহরের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও এই সমাবেশে যোগ দেয়।