বর্তমানে নারীশিক্ষা ও শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করছেন ২২ বছরের মালালা। ২০১৪ সালে শান্তির জন্য নোবেল পান তিনি। সম্প্রতি একটি টুইটে কাশ্মীরি শিশুদের শিক্ষা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন মালালা। লিখেছেন, ‘৪০ দিনের বেশি স্কুল যেতে পারছে না পড়ুয়ারা, আর মেয়েরা তো ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোতেই পারছে না!আমি রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে আর্জি জানাচ্ছি ,কাশ্মীরিদের সমস্যার কথা শুনুন আর বাচ্চাদের অত্যন্ত স্কুলে যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করুন।’
মালালা-র এই টুইটের তীব্র সমালোচনা করেন বহু ভারতীয়। পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের দুর্দশা নিয়ে মালালা-র নিরবতাকে কটাক্ষ করেন তারা। শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী লেখেন, ‘কাশ্মীরি মেয়ে ও শিশুদের প্রতি মালালা-র এই উদ্বেগের আড়ালে পাকিস্তানেক অ্যাজেন্ডাকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।’ বিজেপি নেত্রী শোভা কারান্ডলাজে লেখেন, ‘মালালা-র উচিত আগে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যা শোনা। কাশ্মীরের উন্নয়নকে এভাবে রোধ করা যাবে না।’
গত ৫ অগাস্ট জম্মু এ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ হবার পর থেকেই ব্যাহত সেখানকার স্বাভাবিক জনজীবন। বন্ধ একাধিক দোকানপাট, গভীর প্রভাব পড়েছে যান চলাচলেও। এর মধ্যে রাজ্য সরকার স্কুলগুলিকে খোলার প্রয়াস করলেও ছাত্রছাত্রী প্রায় নেই বললেই চলে। শ্রীনগরের পথে ঘাটে দেখা যাচ্ছে শিশুদের স্কুলে না পাঠানোর হুমকি পোস্টার।