নয়াদিল্লি: সহপাঠীর সঙ্গে সামান্য ঝগড়া, কথা কাটাকাটি। আর তাতেই সটান গুলি চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রের বিরুদ্ধে। দুই অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। আহত কিশোর হাসপাতালে ভর্তি। গুরুগ্রামে অভিজাত আবাসনে এই ঘটনা ঘটেছে। (Gurugram News)

Continues below advertisement

শনিবার রাতে গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৮-এর সেন্ট্রাল পার্ক রিসর্টস এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। তিন কিশোরই যদুবংশী স্কুলের পড়ুয়া। অভিজাত ওই হাউজিং সোসাইটির কাছেই অবস্থিত স্কুলটি। সেখানে এক সহপাঠীর সঙ্গে অন্য দু’জনের ঝামেলা-ঝগড়া হয়। (Gurugram Classmate Shot)

এর পরই শনিবার রাতে ১৭ বছর বয়সি কিশোরকে বাকি দু’জন ফোন করে ডাকে। তাতে না আসায় বাড়ি বয়ে গিয়ে ডেকে আনে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের বাবা একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলেন। সেই অ্যাপার্টমেন্টেই ডাকা হয় ওই কিশোরকে। অভিযুক্তদের একজনের বাবার কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল ছিল। ওই কিশোর এলে, সেই পিস্তল থেকেই গুলি ছোড়া হয় তাকে লক্ষ্য় করে।

Continues below advertisement

সদর থানায় সেই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন গুলিবিদ্ধ কিশোরের মা। তিনি জানান, বার বার ফোন করে ডাকা হয় তাঁর ছেলেকে। প্রথমে যেতে না চাইলেও,  অভিযুক্তরা বাডি়তে এসে হাজির হয়। তাতেই শেষ পর্যন্ত দেখা করতে রাজি হয় সে। কিন্তু সেখানে পৌঁছলে অভিযুক্তদের একজন নিজের বাবার পিস্তল থেকে গুলি চালায়। 

থবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহত অবস্থায় কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। যে পিস্তলটি উদ্ধার হয়েছে, তাতে একটি ম্যাগাজিনে পাঁচটি কার্তুজ ছিল। একটি শেল ফাঁকা ছিল। পাশাপাশি, ওই অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আরও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়, যার মধ্যে ৬৫টি কার্তুজ ছিল।

ফরেন্সিক টিমও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশ সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে অনুরোধ করেছে। বলা হয়েছে, লাইসেন্স প্রাপ্ত সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপদে সরিয়ে রাখতে হবে, যাতে সেগুলি ছেলেমেয়ের নাগালে না পৌঁছয় এবং এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। 

যে কিশোরের বাবার পিস্তল থেকে গুলি ছোড়া হয়, তিনি সম্পত্তি কেনাবেচার ব্যবসায় যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। পিস্তল রাখার লাইসেন্স ছিল তাঁর। কিন্তু ওই পিস্তল নিয়ে যে ছেলে সহপাঠীর উপর হামলা চালাতে পারে,  তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। 

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দুই কিশোরই নাবালক। ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরই আটক করা হয় তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে গুলি চালানোর কথা স্বীকার করার পাশাপাশি, গোটাটাই পরিকল্পনা মাফিক ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রথমে একজনকে আটক করে পুলিশ। এর পর তার বয়ান অনুযায়ী, দ্বিতীয়জনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।