তার হাতের জাদুতে মোহিত অনেকেই। কাঁচি আর ট্রিমার নিয়ে জাদু করেন তিনি। দেশ জুড়ে তাঁর ব্র্যান্ডের হাজার হাজার আউটলেট। সবেতেই উপচে পড়া ভিড়। আর এ হেন জাভেদ হাবিবের বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। শতাধিক মানুষের সঙ্গে কোটি-কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে সেলিব্রিটি হেয়ারস্টাইলিস্ট জাভেদ হাবিব এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করল পুলিশ।
জাভেদ হাবিব এবং তার ছেলে আনাস হাবিবের বিরুদ্ধে এখন মোট ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্প্রতি দায়ের হয়েছে ১৯টি নতুন মামলা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই অভিযোগে জড়িছে জাভেদ হাবিবের স্ত্রীর নামও । অভিযোগ তিনিও এক প্রতারণাকারী কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । হেয়ারস্টাইলিস্ট হাবিব ও তাঁর পরিবারের কেই এখন দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। হাবিবের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুকআউট নোটিশ। জাভেদ হাবিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্ভালে তলব করা হয়েছে। পুলিশ হাবিব ও তাঁর পরিবারের সম্পত্তি খতিয়ে দেখছে। অভিযোগটা কী ?
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে সম্ভালের সারায়াতীন এলাকায় রয়্যাল প্যালেস ভেঙ্কট হলে হাবিব এবং তার ছেলে FLC (ফোলিকল গ্লোবাল কোম্পানি) এর ব্যানারে একটি ইভেন্টের আয়োজন করেন। সেখানে তাঁরা বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রায় ১৫০ জনকে বিটকয়েন এবং বিন্যান্স কয়েনে বিনিয়োগের উপর ৫০-৭৫% রিটার্নের প্রতিশ্রুতি দেন তাঁরা। অভিযোগ এরপর বিনিয়োগকারীরা ৫-৭ লক্ষ টাকা করে বিনিয়োগ করেছেন। তারপর আর রিটার্ন পাননি। ১০০ জনেরও বেশি লোক জালিয়াতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ।
এক বছরের মধ্যে কোনও রিটার্ন না পাওয়ায়, বিনিয়োগকারীরা পুলিশের কাছে যান। হাবিব, তার ছেলে এবং অন্যরা কোম্পানিটি বন্ধ করে দিয়ে পালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। একটা - আধটা নয় বহু মানুষই অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, হালফিলে জাভেদ হাবিব, তার ছেলে , হাবিবের সম্ভাল অপারেশনের প্রাক্তন প্রধান সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে আরও ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ এবং ৫০৬ ধারায় মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে । পুলিশের সন্দেহ , হাবিবের স্ত্রীও এই লোক-ঠকানো কোম্পানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, আর্থিক জালিয়াতির পরিমাণ বিরাট। প্রায় ৭ কোটি টাকা। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৭ ধারার অধীনে দিল্লি এবং মুম্বইতে হাবিবের সম্পত্তি তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার্জশিট দাখিল হলে আরও কড়া ধারায় মামলা হবে ।