হাইতি : হাইতিতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ল। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ২০৭ জন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৩৪৪ জন। রবিবার একথা জানায় সেদেশের সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি। 


শনিবার ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে হাইতি। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.২। তার পর থেকে ক্রমশ বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি ধসে পড়ে। সেই সব ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকাজ চলছে। প্রবল এই ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে দেশে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ২০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অনেকে নিখোঁজ।


ভূমিকম্পের পর একাধিক আফটার শকে কেঁপে ওঠে হাইতির একাধিক এলাকা। মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ২০১০-র শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষতি এখনও সামলে উঠতে পারেনি হাইতি। তারই মধ্যে ফের জোরাল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে এই দেশ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম তিবুরন উপদ্বীপের সেন্ট-লুই দ্যু সুদ শহরে উত্তর-পূর্বে ভয়ঙ্কর ভূ-কম্প অনুভূত হয়।


জনবহুল এই এলাকায় কম্পনের ফলে আতঙ্কিত বাসিন্দারা সুরক্ষার জন্য ত্রস্ত হয়ে ওঠেন। ঘন জনবসতিপূর্ণ হাইতির রাজধানী পোর্ট অ প্রিন্স থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। দীর্ঘ ও প্রাথমিক কম্পন বেশিরভাগ ক্যারিবিয়ানই বুঝতে পেরেছিলেন। হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপে প্রচুর ঘরবাড়ি, স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কম্পনের পর সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে মৃতের সংখ্যা।


সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি ট্যুইটারে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের এক সপ্তাহ পর দেখা গেছে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ৭৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যারা মধ্যে ৫৩ হাজার পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। আহত ১২ হাজার ২৬৮ জন।  


ভূমিকম্পের পর প্রধানমন্ত্রী আরিয়েল হেনরি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়ে দেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য প্রশাসনের তরফে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল পোর্ট অব প্রিন্স শহর। সে সময় দু'লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।