নয়াদিল্লি: ইজরায়েলি হামলায় খুন হয়েছেন হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ড্রোন ফুটেজে তাঁর শেষ মুহূর্তের ভিডিও সামেন এসেছে ইতিমধ্যেই। এবার ইয়াহিয়ার ময়নাতদন্তে আরও তথ্য উঠে এল। জানা গিয়েছে, ইয়াহিয়ার মাথায় গুলির ক্ষত রয়েছে। মৃত্যুর আগে তাঁর কব্জি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও জানা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে। (Yahya Sinwar)


৬১ বছর বয়সি ইয়াহিয়ার পরিচয় সুনিশ্চিত করা গিয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে।  হাতের আঙুল কেটে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ইজরায়েলের ন্যাশনাল ফরেন্সিক ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর, চিকিৎসক চেন কুগেল ইয়াহিয়ার ময়নাতদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ইয়াহিয়ার হাতে প্রথমে রকেট অথবা গোলার টুকরো বেঁধে। তার দরুণ রক্তপাত হচ্ছিল। হাতটি গুঁড়িয়ে গিয়েছিল তাঁর। (Israel vs Hamas War)


জানা গিয়েছে, বিদ্যুতের তার বেঁধে প্রথমে রক্তপাত বন্ধ করতে চেয়েছিলেন ইয়াহিয়া। কিন্তু তা রক্ত আটকানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। মৃত্যুর ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা পর ইয়াহিয়ার শরীরে ময়নাতদন্ত হয়। ময়নাতদন্ত মিটলে দেহ ইজরায়েলি সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়। অজ্ঞাত স্থানে ইয়াহিয়ার দেহ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে খবর।



ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, ইজরায়েলি সেনা ইয়াহিয়ার আঙুল কেটে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল। ইজরায়েলের যখন জেল খেটেছিলেন ইয়াহিয়া, সেই সময় তাঁর ডিএনএ-র নমুনা রাখা ছিল। তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখেই পরিচয় সুনিশ্চিত করা হয়। প্রায় দুই দশক ইজরায়েলের জেলে বন্দি ছিলেন ইয়াহিয়া। বন্দি আদানপ্রদান চুক্তির আওতায় ২০১১ সালে তিনি মুক্তি পান।


গত বৃহস্পতিবার ইয়াহিয়ার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে ইজরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার সেই খবরে সিলমোহর দেয় হামাস।  গতবছর অক্টোবরে হামাস যে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়, ইয়াহিয়া তার মূল হোতা ছিলেন বলে দাবি ইজরায়েলের। সেই থেকে তাঁকে নিকেশ করার সুযোগ খুঁজছিল ইজরায়েলি বাহিনী। ইয়াহিয়ার উপর হামলার যে ড্রোন ফুটেজ সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ, ধুলোর মধ্যে একটি সোফায় বিধ্বস্ত অবস্থায় বসে রয়েছেন ইয়াহিয়া। মুখে কাপড় জড়ানো রয়েছে। তাঁর ডান হাত থেকে অঝোরে রক্ত ঝরছে। একটি ড্রোন সেখানে পৌঁছলে অন্য হাতে একটি লাঠি সেটির দিকে ছুড়ে দেন তিনি। এর পরই একটি রকেট আছড়ে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে পরে ইয়াহিয়ার দেহ উদ্ধার করা হয়।