ভোপাল: মধ্যপ্রদেশে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত কমপক্ষে ৫০টি বাড়ি। এখনও পর্যন্ত ছ'জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহতের সংখ্যা ৬০। স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। তবে তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। (Harda Firecracker Factory Blast)
মধ্যপ্রদেশের হরদা জেলার বৈরাগড় গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার সেখানে একটি বাজি কারখানায় তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে এদিন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পর পর বেশ কয়েক বার তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসে। এর পর আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাজি কারখানার সংলগ্ন একাধিক বাড়িতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের গ্রাসে চলে যায় ৫০টি বাড়ি। (Madhya Pradesh Blast)
বিস্ফোরণের তীব্রতা এতই বেশি ছিল যে, হরদার সংলগ্ন সিওনি মালওয়া এবং নরেন্দ্রপুরমেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং সেখানকার বাড়িঘরও কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। মধ্যপ্রদেশের মুখ্য়মন্ত্রী মোহন যাদব ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রী উদয়প্রতাপ সিংহ এবং শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Anti-Cheating Bill: পরীক্ষায় নকল করলে ১০ বছর জেল, ১ কোটি পর্যন্ত জরিমানা, নয়া বিল কেন্দ্রের
বিস্ফোরণের পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভোপাল মেডিক্যাল কলেজ এবং ইন্দৌরের হাসপাতালগুলিতেও উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগীদের চিকিৎসায় তৎপরতা শুরু হয়েছে সেখানে। ঘটনাস্থলে পৌছেছে দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। বেতুলের কালেক্টর নরেন্দ্রকুমার সূর্যবংশী, চিফ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ অফিসার রবিকান্ত উইকে জানিয়েছেন, মেডিক্যাল টিম এবং একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে।
বেতুল থেকে হরদায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলও পৌঁছেছে। পুলিশ, স্ট্রেচার, কম্প্রেসর মেশিনও পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশের উপস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকার্য। তবে ঘটনাস্থল থেকে যে ছবি এবং ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে আগুনের লেলিহান শিখা এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গিয়েছে। আশেপাশের রাস্তাঘাটও আপাতত খালি করে দিয়েছে। কী থেকে এমন বিস্ফোরণ ঘটল, ওই বাজি কারখানায় কী এমন ছিল, যা থেকে এমন তীব্র বিস্ফোরণ, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।