লখনউ: হাথরসকাণ্ডের তদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-কে আরও ১০ দিন সময় দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। আজই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে রিপোর্ট পেশের কথা ছিল সিটের। তদন্তে আরও কিছু সূত্র উঠে আসায় তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দলকে আরও ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। হাথরসকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে গঠিত হয় সিট।


ইতিমধ্যেই সিটের প্রাথমিক রিপোর্টের ভিত্তিতে হাথরসের পুলিশ সুপার ও ডিএসপি সহ সাত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। ওই পুলিশকর্মীদের পলিগ্রাফ ও নারকো টেস্টের সুপারিশও দেওয়া হয়েছে।


নির্যাতিতার পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলেছে সিট। এর জন্য তারা গ্রামে তিনদিন ছিল। পাশাপাশি, শনিবারই, এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের সুপারিশও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ।


এদিকে, হাথরসকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে হলফনামা উত্তরপ্রদেশ সরকারের। সর্বোচ্চ আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের আর্জি। উত্তরপ্রদেশ সরকারের আবেদনে উল্লেখ, রাজ্য সরকারের বদনাম করার জন্য বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। নিরপেক্ষ তদন্তকে প্রভাবিত করাই এর উদ্দেশ্য।


পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হলফনামায় যোগী সরকারের দাবি, নির্যাতিতার মৃত্যুর পর হিংসাত্মক ঘটনা এড়াতেই মা-বাবার সঙ্গে কথা বলে রাতেই সত্কার করা হয়।


সম্প্রতি, ফরেন্সিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এমন নির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি যা থেকে প্রমাণিত হয় যে নিহত তরুণী ধর্ষিতা হয়েছিলেন। জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজের ওই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পেশও করে যোগী প্রশাসন।


গতকালের শুনানিতে হাথরসকাণ্ডকে চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা, অত্যন্ত অস্বাভাবিক ব্যাপার ও ভয়ঙ্কর ও বিরল ঘটনা -- হিসেবে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত।