কলকাতা: মণীশ শুক্ল খুনে তাঁর বাবার এফআইআর করলেন তৃণমূলের টিটাগড় ও ব্যারাকপুরের দুই পুর প্রশাসকের বিরুদ্ধে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহেরও অভিযোগ, মণীশ খুনের নেপথ্যে রয়েছেন এই দু’জনই। চল্লিশ লক্ষ টাকায় ডিল হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও দু’জনেই অস্বীকার করেছেন অভিযোগ।


পুলিশ সূত্রে দাবি, মণীশ খুনের নেপথ্যে রয়েছে পুরনো ব্যক্তিগত শত্রুতা। কিন্তু, সম্পূর্ণ অন্য দাবি করছেন মণীশ শুক্লর পরিবার ও বিজেপি। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যারাকপুর এবং টিটাগড় পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূলের দুই বিদায়ী পুরপ্রধান সহ সাতজনের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ করে এফআইআর করলেন মণীশের বাবা চন্দ্রমণি শুক্ল।

টিটাগড় থানায় করা লিখিত অভিযোগে চন্দ্রমণি অভিযোগ করেছেন, টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরী, ব্যারাকপুর পুরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাস, তৃণমূল নেতা রাজেন্দ্র যাদব, মহম্মদ খুররম খান, টিটাগড়ের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর নাজির খান, রঞ্জিত পাল ওরফে রুনু, বাঁটুল, আরমান মণ্ডল এবং ভোলা প্রসাদ এই খুনের সঙ্গে জড়িত। দুই পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান এবং দাপুটে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপিও। চন্দ্রমণি বলেছেন, উত্তম ও প্রশান্ত চাইতেন না,  মণীশ এখানে থাকুন। উনি বেঁচে থাকলে ব্যারাকপুরে বিজেপির প্রার্থী হতেন। আর ওঁকে হারানোর ক্ষমতা কারও ছিল না।

অর্জুন সিংহেরও বক্তব্য, দুই চেয়ারম্যান ষড়যন্ত্রে জড়িত। বাইরে থেকে ভাড়া করা খুনী আনা হয়েছিল, ডিল হয়েছিল ৪০ লক্ষ টাকার। মণীশ খুনে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে। দুই চেয়ারম্যান মিলে খুন করিয়েছেন।

যদিও, মণীশ শুক্লর বাবার এবং বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা। উত্তম দাসের দাবি, তিনি কুকুর মারতেই বারণ করেন। অর্জুন সিংহ ভুয়ো অভিযোগ করছেন তাঁর নামে। আর প্রশান্ত চৌধুরী বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এফআইআরে তাঁদের নাম দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২, ৩৪ এবং ১২০-র বির ধারায় মণীশ খুনের মামলা শুরু হয়েছে। এফআইআরে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে একমাত্র খুররম খানকেই এখনও অবধি গ্রেফতার করা হয়েছে।