লখনউ: হাথরসের ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা প্রধানমন্ত্রীর। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ। আদিত্যনাথ এদিন নিজে ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন।





অন্যদিকে, চাপের মুখে গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতার মৃত্যুর তদন্তে সিট গঠনের সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের। স্বরাষ্ট্র সচিব ছাড়াও দলে রয়েছেন ডিআইজি এবং এক আইপিএস অফিসার। গোড়া থেকে তদন্ত এবং ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের।





প্রসঙ্গত, যোগী রাজ্যে গণধর্ষণে মৃত তরুণীর সৎকার ঘিরেও কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। মৃতদেহ গ্রামে পৌঁছলেও, বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল না। পরিবারের আবেদন অগ্রাহ্য করে মাঝরাতে জোর করে সৎকারের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।


নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, মৃতদেহ বাড়িতে আনতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশের আপত্তিতে তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, হাথরসের মহকুমা শাসকের দাবি, পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত না থাকায়, পুলিশই মৃতদেহ সৎকার করে।


এই ঘটনায় প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক বিজেপি। বিরোধীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী লিখেছেন, এক ভারত-কন্যাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা ঘটল। এরপর তথ্য ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। শেষে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে সৎকারের অধিকারও ছিনিয়ে নেওয়া হল। এটা অপমানজনক, অত্যন্ত অন্যায়।





উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষণে মৃত্যুর ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের ইস্তফার দাবি প্রিয়ঙ্কার। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের ট্যুইট, হাথরসের নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পান। আমি তাঁকে কাঁদতে শুনেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, শুধুমাত্র সন্তানের জন্য ন্যায়বিচার চান। গতকাল রাতে তাঁর মেয়েকে শেষবার বাড়িতে আনার চেষ্টা এবং সৎকারের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হল। যোগী আদিত্যনাথ পদত্যাগ করুন। নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারকে রক্ষা করার পরিবর্তে আপনার সরকার মৃত্যুর পরেও তাদের মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আপনার মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার কোন নৈতিক অধিকার নেই।













উত্তরপ্রদেশের গণধর্ষণে মৃত তরুণীর অন্ত্যেষ্টি নিয়ে মোদি ও যোগী সরকারকে নিশানা মহুয়া মৈত্রর। তৃণমূল সাংসদের ট্যুইট, পরিবারকে না জানিয়েই মাঝরাতে হাথরসের নির্যাতিতার মৃতদেহ সৎকার। মোদির নতুন ভারত। যোগীর নতুন আইন। ভারতের নতুন অবনমন। ট্যুইটে কটাক্ষ মহুয়ার।