নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের আগে দলের প্রত্যেক সদস্যের জন্য আগামী ১০০ দিনের লক্ষ্য বেঁধে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপমে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের (BJP National Convention) শেষ দিনের সমাপ্তি বক্তৃতায় বললেন, আগামী ১০০ দিন দলের প্রত্যেক সদস্যকে নতুন ভোটার, নতুন উপভোক্তা এবং প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছতে হবে। প্রত্যেকের আস্থা অর্জন করতে হবে।


কী জানা গেল?
রবিবারই প্রয়াত হন জৈন সন্ত, আচার্য বিদ্যাসাগর মহারাজ।  এদিনের বক্তৃতার আগে তাঁকে প্রথমে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। তার পর বলেন, 'আগামী ১০০ দিনে আমাদের সকলকে, প্রত্যেক নতুন ভোটার, উপভোক্তা এবং সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছতে হবে।  সকলের আস্থা এবং ভরসা অর্জন করতে হবে। বছরভরই সাধারণ মানুষের সুখদুঃখে তাঁদের পাশে থাকেন আমাদের কর্মীরা। তবে আগামী ১০০ দিনে আমাদের নতুন উদ্য়োগে সেই কাজে ব্রতী হতে হবে।' প্রধানমন্ত্রী মনে করান, আজ যাঁরা ১৮ উত্তীর্ণ হবেন, তাঁরা আর কয়েক মাস পরে লোকসভা ভোটে অংশ নিয়ে ফলাফলের অনেকটাই নির্ধারণ করবেন। সকলের আস্থা ও ভরসা অর্জনই আগামী ১০০ দিনে দলের প্রত্যেক কর্মীর লক্ষ্য, বেঁধে দেন মোদি। 


'বিকশিত ভারত'...
দলের জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনের বক্তৃতায় 'বিকশিত ভারতের' স্বপ্ন বাস্তবায়নের কথাও শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীর মুখে। বলেন, 'দেশের স্বপ্ন ও তা বাস্তবায়নের তাগিদ আরও জোরাল হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মেয়াদে, বিকশিত ভারতের লক্ষ্যে আমাদের এক ধাক্কায় এগিয়ে যেতে হবে।' ঘটনা হল, এর আগে, অন্তর্বর্তী বাজেট বক্তৃতায় ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে। বিকশিত ভারতের অনুষঙ্গ টেনে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, 'জুলাই মাসের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে এই সরকার বিকশিত ভারতের লক্ষ্য ছোঁয়ার বিশদ রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।' বস্তুত, সীতারামনের বাজেট-বক্তৃতার একাংশ সেদিন ভাইরালও হয়। 'অমৃত কাল'-কে 'কর্তব্য কাল' হিসেবে তুলে ধরে সীতারামন আরও বলেন, 'আর্থিক ম্যানেজমেন্ট এবং প্রশাসনের মাধ্যমে ২০১৪ সাল পূর্ববর্তী সমস্ত চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। জুলাই মাসের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে এই সরকার বিকশিত ভারতের লক্ষ্য ছোঁয়ার বিশদ রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।' বিজেপি তথা এনডিএ যে ফের ক্ষমতায় আসছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এতটা আত্মবিশ্বাসী শোনানোর পর টেবিল চাপড়ানোর আওয়াজে সংসদে কান পাতা কঠিন হয়ে উঠেছিল।
এদিন অবশ্য স্রেফ আত্মবিশ্বাসের পাঠ নয়, দলের প্রত্য়েক সদস্যের জন্য আগামী ১০০ দিনের 'লক্ষ্য'-ও স্থির করে দেন প্রধানমন্ত্রী। বাকিটা কী হয়? আরও কিছুটা অপেক্ষা। 


আরও পড়ুন:২১ তারিখে বিয়ে, তার আগে শনিবারই গোয়ায় পৌঁছলেন রকুলপ্রীত-জ্যাকি