রবিবার জোড়া কৃষিবিল পাশ নিয়ে তুলকালাম হয় রাজ্যসভায়। ওই তুলকালামে ও উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে তিনি গোটা রাত ঘুমোতে পারেননি বলে চিঠিতে জানিয়েছেন হরিবংশ। শুধু যে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন তাই নয়, বিরোধীরা সংসদ কক্ষে যে আচরণ করেছেন, সেই যন্ত্রণার জেরে আগামীকাল পর্যন্ত তিনি অনশন পালন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এডিএমকে, জেডিইউ ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস ছাড়া আর কেউই ওই দুটি কৃষি বিলের পক্ষে দাঁড়ায়নি। রবিবার ধ্বনিভোটের মাধ্যমে বিল পাশ করিয়ে নেয় মোদি সরকার। তারই জেরে তুঙ্গে ওঠে বিরোধীদের প্রতিবাদ। হইহট্টগোলের মধ্যে কে সম্মতি জানাচ্ছেন আর কেই বা বিরোধিতা করছেন তা বোঝা যায়নি। এক সময় রুল বুক নিয়ে ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের দিকে ছুটে যান তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। সভাপতির আসনে ওঠার চেষ্টা করলে মার্শালের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয়। বাকি বিরোধী সাংসদরাও ছুটে আসেন। বিলের কপি ছিঁড়ে ফেলা হয় কক্ষের মধ্যে। সংসদীয় রীতিনীতির তোয়াক্কা না করে হরিবংশের বিরুদ্ধে সাংসদরা আপত্তিজনক শব্দ প্রয়োগ করেন তাঁকে অভিযোগ করেছেন বলে জানান বেঙ্কাইয়া নাইডু। মোদি সরকারকে ফ্যাসিস্ত সরকার আখ্যা দিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রায় সব বিরোধী দলই দাবি করেছিল কৃষি ক্ষেত্রের দুটি বিল সংসদীয় সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক। কিন্তু তা মানেনি সরকার। সরকারপক্ষের আচরণের নিন্দায় সংসদ চত্বরে গতকাল রাতে ধরনায় বসে কংগ্রেস, সিপিএম, শিবসেনা, জেডিএস, তৃণমূল, সিপিআই, সমাজবাদী পার্টি। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা ছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, সংসদের মৃত্যু, লজ্জা, লজ্জা। অন্যদিকে জোড়া কৃষি বিল পাশ করানো ঘিরে সাংসদদের এই আচরণে তিনি অত্যন্ত ব্যথিত বলে জানিয়েছেন হরিবংশ।