নুন শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, শরীরের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী। নুনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ থাকে যা শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটস হিসেবে কাজ করে। এটি আপনার স্নায়ুতন্ত্র, মাংসপেশীর কাজ ও শরীরে তরলের মাত্রা ঠিক রাখে। কিন্তু নুন বেশি খেলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, হতে পারে হার্টের রোগও। তাই খাবারে নুন মেশান ঠিকই কিন্তু বুঝে সুঝে।
তা বলে আবার অসুস্থ হওয়ার ভয়ে নুন খাওয়া একেবারে কমিয়ে দেবেন না। যতক্ষণ না চিকিৎসক আপনাকে নুন খাওয়া কমাতে বলছেন, ততক্ষণ কোনও ভয় নেই। তবে অনেকেরই ধারণা, নুন অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। তাঁরা জানেন না, শরীরে নুন অর্থাৎ সোডিয়াম কমে গেলে নানারকম সমস্যা হতে পারে। ক্ষুদ্রান্ত্র, মাংসপেশীর সমস্যা, পেটের গোলমাল, বমি ও হার্ট ফেলিওরের মত অসুস্থতা অসম্ভব নয়। এমনকী আপনার মস্তিষ্কের কার্যকলাপেও সোডিয়ামের কমে যাওয়া প্রভাব ফেলতে পারে।
আবার শরীরে যদি নুন বেশি যায় তবে অস্টিওপোরোসিস, কিডনির সমস্যা ও রক্তচাপ বাড়তে পারে। আর রক্তচাপ থেকে শুরু হয় হৃদযন্ত্রের সমস্যা। এখন বাজারে নানা ধরনের নুন পাওয়া যায়, যেমন টেবল সল্ট, কোশের সল্ট, সি সল্ট, পিঙ্ক হিমালয়ান সল্ট ইত্যাদি। রান্নার জন্য মূলত ব্যবহার হয় টেবল সল্ট। এই নুনে আয়োডিন ভরপুর। তবে পুষ্টির কথা ভাবলে সব থেকে ভাল সি সল্ট ও হিমালয়ান সল্ট। তবে তার মানে এই নয়, এই নুন ইচ্ছেমত খেতে পারেন। যে নুনই খান, সবেতেই সোডিয়াম রয়েছে, তাই সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ে একটু সাবধান হন।
রান্না করা খাবারে নুন ছিটিয়ে খাওয়া অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। আলাদা করে মেশানো ওই নুন সহজে হজম হয় না, ফলে পেটের সমস্যা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রাপ্তবয়স্করা প্রতি দিন ৫ গ্রাম পর্যন্ত নুন খেতে পারেন। ২-১৫ বছরের ছেলেমেয়েদের শরীরে নুনের মাত্রা তাদের শারীরিক প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে। প্রতিদিনের নুনে আয়োডিন থাকা অবশ্যই উচিত, তা মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়।