চুল ভাল রাখার জন্য কী কী করা দরকার ও কোন কোন অভ্যাস এড়িয়ে চলতে হবে সেদিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেওযা যাক।

চুল পড়া বন্ধ বা চুলের যত্ন নিতে অবশ্যই তেল দিতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল হল নারকেল তেল। নারকেল তেল চুলকে মসৃণ ও স্বাস্থ্যবান করে। এতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আছে, যা যেকোনো ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের আক্রমণ থেকে চুলকে রক্ষা করে। তাই সপ্তাহে যে করেই হোক একদিন চুলে তেল দিতে হবে বা শ্যাম্পু করার আগে চুলে তেল ম্যাসাজ করতে হবে।

আবার পেঁয়াজের রস এবং মেথি বাটা চুলে ব্যবহার করলেও ভাল ফল মিলতে পারে। পেঁয়াজ ও মেথির মধ্যে থাকা উপাদানগুলি চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায় এবং চুলকে ভিতরে থেকে মজবুত করে।

কেমিক্যালযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। শ্যাম্পুতে বিটরুট নির্যাস, তেঁতুলের বীজ আছে কি না, লক্ষ্য রাখুন। এই উপাদানগুলো চুলের কোনও ক্ষতি না করে কার্যকরভাবে মাথার তালু পরিষ্কার করে। সরাসরি শুকনো চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। তেল দিয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল কেবল উজ্জ্বলই হয় না; এটি চুলের গোড়াকে মজবুত করে ও চুলকে মসৃণ করে। তবে অবশ্যই চুলের ধরন বুঝে কন্ডিশনার বেছে নিতে হবে। বিটরুট নির্যাস, অ্যাকুয়া, প্রো ভিটামিন বি-৫ সমৃদ্ধ কন্ডিশনার ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যাবে।

অনেকে মনে করেন, গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করলে চুল ভাল থাকে। এটি একেবারেই ভুল ধারণা। গরম জল মাথার তালুর গুরুতর ক্ষতি করে, এতে চুল পড়ে ও চুল দুর্বল হয়ে যায়।

আপনি কী খাচ্ছেন? খারাপ খাদ্যাভ্যাস চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এ জন্য সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। ভিটামিন ই যুক্ত খাবার, সামুদ্রিক মাছ ডিম, দুধ চুলের জন্য খুবই উপকারী।

যদি খুব বেশি চুল পড়তে থাকে তাহলে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে। ঘৃতকুমারী, আমলকী, শিকাকাই, নিমের গুঁড়ো একই পরিমাণে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দিতে হবে। সপ্তাহে একবার এটির ব্যবহার চুল পড়া কমাবে। এ ছাড়া ডিম, মেথির গুঁড়ো ও টক দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে দেওয়া যেতে পারে। সপ্তাহে দুদিন এই প্যাক ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়। অনেকে চুল দ্রুত শুকনো করার জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেন। কিন্তু গরম হাওয়া চুলের জন্য ক্ষতিকর।