খেলা ছেড়েছেন অনেকদিন আগে। তাও ৪৮ বছরের সৌরভের ব্যস্ততার শেষ নেই! উল্টে বেড়ে গিয়েছ। একাধারে সৌরভ যেমন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট, তেমনই একাধিক ব্র্যান্ডের অ্যাম্বাসাডর। রিয়েলিটি শো-র হোস্ট। মহারাজের কাজ কী কম?
এর উপর সম্প্রতি সৌরভের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়েও শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। এত চাপ একসঙ্গে চলে আসা কি কোনওভাবে কারণ হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের মতো জটিল সমস্যার? কীভাবে তা প্রভাব ফেলে শরীরে?
এ ব্য়াপারে এসএসকেএমের ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রির অধিকর্তা প্রদীপ সাহার অভিমত, মানসিক চাপ জীবনে বিভিন্ন দিক থেকে আসতে পারে। এই চাপ যখন সহ্যের ওপরে চলে যায়, তখনই কিন্তু এই ধরনের হার্ট অ্যাটাক বা সেরিব্রাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কারণ শরীরে যে প্লেটলেট থাকে, তাতে সেরোটোনিনের মাত্রা কমতে থাকে। তখন ভেসেল সরু হয়ে যায়। রক্তে ছোট ছোট ক্লট তৈরি হয়। যখন সেই রক্ত হার্টের মধ্যে দিয়ে পাস করে, তখন আটকে গিয়ে অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। মানসিক চাপ বেড়ে গেলে অবশ্যই চিকিত্সটকদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সৌরভের মতো দাপুটে খেলোয়ারের হার্ট অ্যাটাকের খবরে কপালে চিন্তিত অরুণিমা ঘোষের মতো অভিনেত্রী, যিনি বলেছেন, দাদার এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে আছি। আমার চাপ বাড়লে সমস্যা হয়। অনেক কাজ কমিয়ে দিয়েছি। মানসিক শান্তি বেশি প্রয়োজন। তবে আশার আলো স্টেন্ট বসানোর পর এখন অনেকটাই ভাল রয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটের দাদা।