রাঁচি: বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তন হেমন্ত সোরেনের। বৃহস্পতিবার তৃতীয় বারের জন্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি। হেমন্তকে তাঁর জায়গা ফিরিয়ে দিতে গতকালই পদত্যাগ করেন চম্পাই সোরেন। এর পর বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন হেমন্ত। (Hemant Soren)


দুর্নীতি মামলায় গত পাঁচ মাস বিরসা মুন্ডা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন হেমন্ত। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি সামলাচ্ছিলেন চম্পাই। গত ২৮ জুন হেমন্তের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট।  এর পরই রাজ্যের মসনদে ফের তাঁর প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। বুধবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। বৈঠক হয় I.N.D.I.A জোটেরও। সেখানে শরিক দল কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল হেমন্তর প্রত্য়াবর্তনে সায় দেয়। এর পর গতকাল রাতেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন চম্পাই। (Hemanta Soren Jharkhand CM)


প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, রবিবার শপথ নিতে পারেন হেমন্ত। কিন্তু এদিন বিকেলেই শপথবাক্য পাঠ করলেন তিনি। শপথগ্রহণের পর বলেন, "২০১৯ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মহাজোট মানুষের স্বার্থে কাজ করে এসেছে। রাজনৈতিক ওঠাপড়ার সময় চম্পাই সোরেন সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন, কারণ আমি জেলে ছিলাম। আদালতের নির্দেশেই বেরিয়ে আসতে পারলাম।"



আরও পড়ুন: Narendra Modi in Space: মহাকাশ অভিযানে যাবেন মোদি! আশাবাদী ISRO প্রধান, কংগ্রেস বলল...


আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। হেমন্ত জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী কল্পনা সোরেনও মানুষেক কাজে আরও বেশি করে এগিয়ে আসহেন। নির্বাচনকে সামেন রেখে এখন থেকেই দলের সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়তে আবেদন জানান তিনি। শপথগ্রহণের আগে এদিন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বাবা শিবু সোরেনের সঙ্গেও দেখা করেন হেমন্ত। রবিবার হেমন্তের মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ বলে জানা গিয়েছে।


তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তন ঘটলেও, বিধানসভা নির্বাচনের আগে হেমন্তর সামনে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের দাবি, বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করলেও চম্পাই অসন্তুষ্ট। দলের বৈঠকেও সেকথা জানান তিনি। পদত্যাগ করতে বলায় 'অপমানিত' বোধ করছেন বলে মন্তব্য করেন। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করেছে বিজেপি। ঝাড়খণ্ডে 'চম্পাই যুগের অবসান' বলে মন্তব্য করছে তারা।


ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে চম্পাই যদিও জানান, জোটের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য। শোনা যাচ্ছে, হেমন্ত সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে চলেছেন তিনি। এবছরের শেষ দিকে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। ২০১৯ সালে JMM নেতৃত্বাধীনু জোট ৪৭টি আসনে জয়ী হয়। বিজেপি জিতেছিল ২৫টি আসনে।