রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রত্যাবর্তন ঘটছে হেমন্ত সোরেনের। রাজ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM), কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জোট আবারও নেতা নির্বাচন করেছে তাঁকে। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে ফেরার রাস্তা সহজ হয়ে গেল হেমন্তের। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী পদে হেমন্তকে ফেরাতে সম্মত হয়েছে I.N.D.I.A জোট। ফলে তাঁর জায়গায় কয়েক মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলানো চম্পাই সোরেনকে সরে যাচ্ছেন। বুধবার রাতে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন তিনি। (Hemant Soren)


দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে হেমন্তকে। গত পাঁচ মাস বিরসা মুন্ডা সেন্ট্রাল জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। গত ২৮ জুন তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। হেমন্ত যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট জানিয়েছে, হেমন্ত যে দোষী নন বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। (Champai Soren)


জামিনের পর আবারও রাজনীতিতে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন হেমন্ত। বুধবারই রাঁচিতে I.N.D.I.A জোটের বৈঠক হয়। তার পরই জানা যায়, আজ রাতেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন চম্পাই। ফলে তৃতীয় বার ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন হেমন্ত, আপাতত সেই নিয়েই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ২০০০ সালে বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড আলাদা হওয়ার পর রাজ্যের ত্রয়োদশ মুখ্যমন্ত্রী হবেন হেমন্ত। 


আরও পড়ুন: Bihar Bridges Collapse: একসঙ্গে ভেঙে পড়ল দু'টি সেতু, বিহারে ফের বিপর্যয়, গত ১৫ দিনে এই নিয়ে ৭টি


গ্রেফতার হওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দেন হেমন্ত। গ্রেফতারির কয়েক মুহূর্ত আগে ছুটে যান রাজ্যপালের কাছে, জমা দেন পদত্যাগপত্র। তাঁর জায়গায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসানো হয় চম্পাইকে। হেমন্তর প্রত্যাবর্তনে তাঁকে সেই পদ ছাড়তে হলেও, শোনা যাচ্ছে নতুন কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে চম্পাইকে। যদিও চম্পাইকে নিয়ে অশনি সঙ্কেত দেখছেন হেমন্ত ঘনিষ্ঠরা। তাঁদের মতে, চম্পাই এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। দলীয় সূত্রে খবর, JMM-এর বৈঠকে 'অপমানিত' বোধ করছেন বলেও জানান চম্পাই।


এর পরও হেমন্তকেই পরিষদীয় দলের নেতা ঘোষণা করা হয়। বুধবার চম্পাইয়ের যাবতীয় কর্মসূচিও বাতিল করা হয়। যদিও চম্পাইকে সরিয়ে হেমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী করলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-র হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে বলে মত দলের একাংশের। ইতিমধ্যেই সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপি-র সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ঝাড়খণ্ডে চম্পাই-যুগের অবসান হল বলে মন্তব্য করেন তিনি। সেই আবহেই রাত ৮টা নাগাদ রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন চম্পাই।