পটনা: বর্ষা শুরু হতেই একের পর এক বিপত্তি। এবার বিহারের সিওয়ানে দু'টি সেতু ভেঙে পড়ল। গত ১৫ দিনে এই নিয়ে পর পর সাতটি সেতু ভেঙে পড়ল সেখানে। সেতু ভাঙার ঘটনায় হতাহতের খবর নেই যদিও। কিন্তু পর পর সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় মানুষজন। (Bihar Bridges Collapse)


বুধবার বিহারের সিওয়ান জেলার দেওরিয়া ব্লক এলাকাতেই দু'টি সেতু ভেঙে পড়ে। প্রায় ২৫ বছর বয়স হয়েছিল একটি সেতুর। মহারাজগঞ্জ-সহ একাধিক গ্রামের সঙ্গে ওই দুই সেতুর মাধ্যমেই যোগাযোগ রক্ষা হতো। সেতু দু'টি ভেঙে পড়ায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে যেমন বাধা পাচ্ছেন সকলে, একই ভাবে মালপত্র পরিবহণও করা যাচ্ছে না। (Bihar Bridge Collapse Incident)


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যে দু'টি সেতু ভেঙে পড়েছে, তার মধ্যে একটির নির্মাণ হয় ১৯৯৮ সালে। তদানীনন্তন সাংসদ প্রভুনাথ সিংহ সেতু নির্মাণে ৬ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় সেতুটির নির্মাণ হয় ২০০৪ সালে। সেবারও সাংসদ তহবিল থেকেই ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয় সেতু নির্মাণের জন্য। একসঙ্গে দু'টি সেতুই ভেঙে পড়ল এবার।



সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নির্মাণের পর থেকে সেতু দু'টি একবারও মেরামত করা হয়নি। এবারে বর্ষার শুরু থেকেই সেতু দু'টিকে নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন স্থানীয়রা, যা সত্য প্রমাণিত হল। গত কয়েক দিন ধরে লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে সেতু দু'টির কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত গণ্ডকী নদীর উপর ভেঙে পড়ে। 


আরও পড়ুন: Jagdeep Dhankhar: 'আমি RSS-এর একলব্য', রাজ্যসভায় ঘোষণা ধনকড়ের, নয়া বিতর্ক


ডেপুটি ডেভলপমেন্ট কমিশনার মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, সেতু ভেঙে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা পৌঁছেছেন ঘটনাস্থলে। ভোর ৫টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। 


এর মাত্র ১১ দিন আগেই সিওয়ানে আর একটি সেতু ভেঙে পড়েছিল। গত ২২ জুন দুরৌন্ধা এলাকায় একটি সেতুর কিছু অংশ ভেঙে পড়ে। গত ১৫ দিনে মধুবনি, আরারিয়া, পূর্ব চম্পারণ-সহ আরও বেশ কিছু জায়গা থেকে সেতু ভেঙে পড়ার খবর সামনে এসেছে। রাজ্য সরকার এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের কথা জানালেও, সরকারি গাফিলতিকেই পর পর এই বিপত্তির জন্য দায়ী করছেন স্থানীয়রা।