কলকাতা: পাকিস্তানকে যে কোনও মুহূর্তে প্রত্যাঘাত? যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করতে হবে? সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে ৭ মে মক ড্রিলের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ কেন্দ্রের। পাকিস্তান হামলা করলে কীভাবে আত্মরক্ষা? ব্ল্যাক আউট থেকে ক্যামোফ্লেজ, কীভাবে এলাকা খালি? সাধারণ মানুষকে তৈরি রাখতে রাজ্যকে নির্দেশ কেন্দ্রের।
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে কী কী পদক্ষেপ? এয়ার রেড সাইরেন ব্যবস্থাকে অপারেশনাল করার নির্দেশ। আচমকা হামলা হলে কীভাবে আত্মরক্ষা? সাধারণ মানুষ, ছাত্রদের মক ড্রিল, যেকোনও মুহূর্তে ব্ল্যাক আউটের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ। 'ওয়ার সাইরেন' বাজানোর অর্থ সাধারণ মানুষকে যুদ্ধ বা বিমানহানার মতো পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথম ভারত সরকার এমন একটি মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যকে। কাল দেশজুড়ে ২৪৪ জেলায় সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে মক ড্রিল হবে বলে সূত্রের খবর। এর মধ্যে রাজ্যেরও বেশ কিছু জেলায় হবে মহড়া, এমনটাই জানা গিয়েছে।
যুদ্ধের সাইরেন আসলে একটি জোরে শব্দ করার মাধ্যমে সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। এটি যুদ্ধ, বিমান হামলা বা দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সজাগ করে তোলে। এর শব্দে একটানা অস্বস্তিকর কম্পন থাকে। এই সাইরেনগুলি সাধারণত প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ সদর দফতর, ফায়ার স্টেশন, সামরিক ঘাঁটি এবং শহরের জনবহুল এলাকায় উঁচু করে লাগানো হয়। এর উদ্দেশ্য হল সাইরেনের শব্দ যতদূর সম্ভব পৌঁছনো। যুদ্ধের সাইরেনের আওয়াজ খুব জোরে হয়৷ সাধারণত ২-৫ কিলোমিটার পর্যন্তও এই সাইরেন শোনা যেতে পারে৷
সাইরেন বাজানোর অর্থ হল, লোকজনকে অবিলম্বে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে। কিন্তু মক ড্রিলের সময় আতঙ্কিত হবেন না। খোলা জায়গা থেকে দূরে থাকুন। ঘর বা নিরাপদ ভবনের ভেতরে যান। টিভি, রেডিও এবং সরকারি সতর্কতার প্রতি মনোযোগ দিন। গুজব এড়িয়ে চলুন এবং প্রশাসনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।
যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে,বিশেষ বিশেষ কারখানা, সংস্থাকে বাঁচাতে ক্যামোফ্লাজের প্রস্তুতি। হামলা হলে মুহূর্তের মধ্যে এলাকার খালি করতে মক ড্রিলের নির্দেশ।
এয়ার সাইরেন শুনলে কী করা উচিত?
এয়ার সাইরেন আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দেয়, যেমন বোমা বা ক্ষেপণাস্ত্র। জরুরি পরিস্থিতিতে (যেমন যুদ্ধ বা ক্ষেপণাস্ত্রের হুমকির সময়) একটি অভ্যন্তরীণ ঘর বেছে নিন যেখানে জানালা নেই, পুরু দেয়াল,ম ভবনের যতটা সম্ভব নিচু (যেমন বেসমেন্ট), আলো বন্ধ করুন, প্রয়োজনে টর্চলাইট ব্যবহার করুন। প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সঙ্গে রাখুন। শিশু বা বয়স্ক পরিবারের সদস্যদের শান্ত থাকতে সাহায্য করুন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।