লাদাখ: সীমান্তে চিনের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পূর্ব লাদাখের প্যাঙ্গং সো-তে প্রায় ১ক ডজন হাই স্পিড ইন্টারসেপ্টর বোট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।


গতমাসে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনা সেনারা। দুপক্ষেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সেই থেকে সীমান্তে বিশেষ করে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় লাগাতার সামরিক বহর বাড়িয়ে চলেছে চিন।


যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় সামরিক প্রস্তুতিতে কোনও কসুর করছে না ভারত। আর তারই অঙ্গ হিসেবে কৌশলগতভাবে গুরিত্বপূর্ণ অঞ্চল এই প্যাঙ্গং হৃদে নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত।


সূত্রের খবর, ২০১২-১৩ সাল থেকেই প্রায় ১৪ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত প্যাঙ্গং সো-তে নজরদারি চালানোর জন্য ১৭টি কুইক রিয়্যাকশন টিম (কিউআরটি) মোতায়েন করেছে ভারত।


কিন্তু, বর্তমান পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাহিনীর উপস্থিতি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। প্যাঙ্গং হৃদ জুড়ে টাইপ-৯২৮বি প্যাট্রলিং বোট নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় চিনা সেনা। ভারতের হাল্কা বোটের তুলনায় এগুলি বেশি শক্তিশালী।


ফলে, প্যাঙ্গং লেকে প্যাট্রলিং করার ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাকে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই দ্রুত অধিকমাত্রায় হাই স্পিড ইন্টারসেপ্টর বোট মোতায়েন করার ভাবনা আসে।


তবে, সেনার এক সূত্রে জানিয়েছে, লাদাখে ওই বোটগুলিকে পাঠানো অতটাও সহজ কাজ হবে না। কারণ, স্বাভাবিকভাবেই এতটা অধীক উচ্চতায় বোট নিয়ে যেতে পরিবহণে সমস্যা রয়েছে।


সম্ভবত, বোটগুলিকে সি-১৭ গ্লোবমাস্টার-৩ বিমানের মাধ্যমে লেহ্ পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। সেখান থেকে আবার প্যাঙ্গং পর্যন্ত সড়কপথে নিয়ে যেতে হবে। যা বেশ সময়সাপেক্ষ।


কেন্দ্রীয় সূত্রের দাবি, বর্তমানে ১৩৪ কিমি দীর্ঘ প্যাঙ্গং লেকের দুই-তৃতীয়াংশই চিনের দখলে। এটা নিয়ে দুদেশের মধ্যে তীব্র বিবাদ চলছে। কারণ, চিনা সেনার বাধায় ফিঙ্গার-৪ থেকে ফিঙ্গার-৮ অঞ্চলের মধ্যে প্যাট্রলিং করতে পারছেন না ভারত। ওই এলাকা নিজেদের বলে দাবি করে বেশ কিছু কাঠামো গড়ে তুলেছে চিন।