১০৯ জোড়ার বেশি রুটে রেল মন্ত্রক ১৫১টি আধুনিক নতুন ট্রেন আনতে চায়। তারা জানিয়েছে, এই প্রকল্পে ৩০,০০০ কোটি টাকার মত বেসরকারি বিনিয়োগের সম্ভাবনা। ট্রেন চলাচলে অর্থ যোগানো, পরিকল্পনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যাবে বেসরকারি হাতে। এর ফলে রেলের পরিকাঠামোর যেমন উন্নতি হবে, তেমনই অক্সিজেন পাবে আর্থিক বৃদ্ধি। ১০৯ জোড়া রুটকে গোটা দেশের রেল নেটওয়ার্কে ১২টি ক্লাস্টারে ভাগ করা হয়েছে, প্রতিটি ট্রেনে অন্তত ১৬টি করে কোচ থাকবে।
ভারতীয় রেলে এখনও দেশে সব থেকে বেশি কর্মসংস্থান হয়। গোটা দেশে কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন এই পরিষেবা গ্রহণ করেন। কিন্তু রেলওয়ে সরকারি অবহেলায় জর্জরিত বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। পরিকাঠামোগত অনুন্নয়ন, বিনিয়োগের অভাব এবং নীতিগত সিদ্ধান্তহীনতা- এই তিনে জর্জরিত ভারতীয় রেল। এই পরিস্থিতিতে বেসরকারি বিনিয়োগ রেলের শতাব্দীপ্রাচীন পরিকাঠামোয় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে, রেল নেটওয়ার্কে উন্নতি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। বিমানবন্দরগুলি যেমন আধুনিকতম প্রযুক্তিতে উন্নত, ঝাঁ চকচকে, বেসরকারি বিনিয়োগ এলে রেলওয়েরও তেমন চেহারা হবে বলে তাঁদের ধারণা। রেল মন্ত্রকও বলেছে, বেসরকারি বিনিয়োগ ডাকা হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত সরকারি খরচ কমাতে, এর ফলে ট্রেন যাতায়াতের খরচও কমবে, বাড়বে কর্মসংস্থান। এছাড়া যাত্রী নিরাপত্তা বাড়বে, যাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানের সফরের অভিজ্ঞতা পাবেন।
সর্বাধিক ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চলবে ট্রেনগুলি। এতে সফরের সময় কমবে। এই প্রকল্পের জন্য কনসেশন পিরিয়ড হবে ৩৫ বছর।