নয়াদিল্লি: আমরা আরেকটা ১৯৮৪র মতো দাঙ্গা হতে দিতে পারি না এই শহরে। দিল্লির হিংসা, অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। লাগাতার হিংসায় উত্তরপূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে রয়েছে। এই অবস্থায় দিল্লি হাইকোর্ট উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, সময় হয়েছে কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনকে এগিয়ে এসে ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে জাতীয় রাজধানীতে প্রত্যেকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকে। প্রশাসন চালানো লোকজনকে খুবই সতর্ক, সজাগ থাকতে হবে। প্রত্যেকের জন্যই জেড স্তরের নিরাপত্তা আছে, দেখাতে হবে।
এ প্রসঙ্গেই বিচারপতি ডি এস মুরলিধর ও বিচারপতি অনুপ জয়রাম বাম্বানিকে নিয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, তাদের চোখের সামনে ১৯৮৪-র মতো আরেকটা দাঙ্গা ঘটুক, এটা তারা হতে দিতে পারে না। দিল্লি রাজ্য প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারীদের কেউ কেউ সশরীরে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ও তাদের পরিবারের কাছে যান, এমন পরামর্শও দিয়েছে বেঞ্চ। বিচারপতি মুরলিধর বলেছেন, সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারীরা জেড প্লাস নিরাপত্তা নিয়ে চলাফেরা করেন। এখন এটা দেখানোর সময় যে, প্রত্যেকটা মানুষ এমন নিরাপত্তা পাবেন।
দিল্লির হিংসায় এক গোয়েন্দা অফিসারের হত্যাকাণ্ডেও উদ্বেগ জানিয়ে তা ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছে বেঞ্চ। হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের অবিলম্বে সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন ডেস্ক খুলতে বলেছে আদালত, প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সকে আহতদের নিরাপদে বের করে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দিতেও বলেছে।
হিংসার আবহে মানুষের মনে আস্থা, ভরসা ফেরানোর প্রয়োজনীয়তার উল্লেখ করে আদালত জানিয়েছে, এটা মানুষের কাছে যাওয়ার, তাঁদের ভরসা দেওয়ার সময়। এটা যত দ্রুত সম্ভব করা উচিত বলে অভিমত জানিয়েছেন বিচারপতিরা।