এক ভিডিও বার্তায় রশিম ধর বলেছেন, কঙ্গনার অফিস ভাঙার জন্য শিবসেনার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করবেন তাঁরা। কংগ্রেসের মেয়ে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সিমলায় বাড়ি করেছেন, দরকার পড়লে তা ভেঙে দেওয়া হবে। মহিলা মোর্চার কর্মীরা গতকাল থেকে কঙ্গনার অফিস ভাঙার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছেন।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর রশিমের সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেছেন, হিমাচলের কন্যা কঙ্গনাকে যেভাবে মহারাষ্ট্র সরকার আক্রমণ করেছে তার তিনি কঠোর নিন্দা করেন। কিন্তু মহিলা মোর্চা প্রধান যা বলেছেন তা সমর্থন করেন না তিনি। রাজ্য বা বিজেপি দল কেউ প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভঢরার বাড়ি ভাঙার দাবি সমর্থন করে না, তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্য সরকারের দায়িত্ব।
রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি কুলদীপ রাঠোর দাবি করেছেন, প্রিয়ঙ্কার ঢালু ছাদের, ৫ ঘরের কাঠের কটেজ আইন মেনে হয়েছে। সিমলার পাহাড়ে ৮,০০০ ফুট ওপরে ছারাব্রা এলাকার ঘন পাইনের জঙ্গলে অল্পদিন আগে ওই বাংলো তৈরি করেছেন প্রিয়ঙ্কা। করোনার আগে তিনি, তাঁর দুই সন্তান এবং মা সনিয়া গাঁধী নিয়মিত দেখতে যেতেন বাংলো নির্মাণের কাজ। ২০০৭ সালে বাংলোর ওই ৪ বিঘা জমি এবং চাষের জমি কেনেন প্রিয়ঙ্কা, দাম পড়েছিল ৪৭ লাখ টাকা। তৎকালীন কংগ্রেস সরকার আইনকানুনে কিছু ছাড় দিয়ে তাঁকে ওই জমি কিনতে সাহায্য করেছিল।
হিমাচলের আইনমত, বাইরের কেউ এখানে জমি কিনতে পারবেন না, যদি কেউ চাষআবাদ ছাড়া অন্য কারণে জমি কিনতে আগ্রহী হন, তবে তাঁকে এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র নিতে হবে।