ওয়াশিংটন: মহাকাশ উৎক্ষেপণে নতুন ইতিহাস রচনা করল মার্কিন সংস্থা 'স্পেস এক্স'। মহাকাশ অভিযানে বিরল কৃতিত্ব। অর্জন করল এলন মাস্কের মালিকানাধীন এই রকেটযান নির্মাণকারী সংস্থা। প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার তৈরি রকেটে চড়ে মহাকাশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাড়ি দিলেন নাসার দুই মহাকাশচারী।
প্রায় এক দশক পর, ফের আমেরিকার মাটি থেকে মহাকাশচারীদের পাঠানো হল। শেষবার, ২০১১ সালে মহাকাশচারীদের উৎক্ষেপণ করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মহাকাশযান সঠিকভাবেই লো-আর্থ অরবিটে পৌঁছে গিয়েছেন। ২ মহাকাশচারী নিরাপদেই রয়েছেন।
এতদিন সরকারি উদ্যোগে, সরকারি সংস্থার তৈরি মহাকাশযান অন্তরীক্ষে পাড়ি দেন ২ নভশ্চর বব বেনকেন ও ডাগ হারলে। এই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থার তৈরি মহাকাশযানে আন্তজার্তিক স্পেস স্টেশনে পাঠানো হল মহাকাশচারী।
স্পেস এক্স তৈরি করেছে ওই মহাকাশযান। আমেরিকার ফ্লরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ লঞ্চ কলমপ্লেক্স থেকে গতকাল (মার্কিন সময়ে) ওই স্পেস এক্স তৈরি ফ্যালকন ৯ রকেটে শিপ মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয়।
স্পেস এক্সই প্রথম বেসরকারি সংস্থা যারা মহাকাশে রকেটে মানুষকে পাঠাল। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিন মহাকাশচারী পাঠিয়েছে।
রকেট বেসরকারি সংস্থার তৈরি হলেও তা মহাকাশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মহাকাশে সাফল্যের সঙ্গে পাড়ি দেন ২ মহাকাশচারী।
করোনায় বিপর্যস্ত মার্কিন মুলুক ও আমেরিকাবাসীদের জন্য কিছুটা হলেও ভালো খবর বয়ে এনেছে এই উৎক্ষেপণ। কোভিড-১৯ এর কারণে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লক্ষের বেশি। ৪ কোটি মানুষ চাকরি হারিয়েছেন।
উৎক্ষেপণের আগে স্পেস এক্স, নাসা ও মহাকাশচারীদের শুভেচ্ছা জানান ট্রাম্প। বলেন, এটা দেশের কাছে বড় অনুপ্রেরণার বিষয়। আমরা এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, যা অবর্ণনীয়। তার মধ্যে আমেরিকা ঠিক রয়েছে।