সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়,মগরা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে হুগলির মগরায় বন্ধ হয়ে গেল সুতো ও রাসায়নিক তৈরির একটি কারখানা। তার জেরে কাজ হারালেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিপুল লোকসানের কারণেই সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হচ্ছে কারখানা। যদিও পাকাপাকি ভাবে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন শ্রমিকরা।
করোনাকালে কমেই চলেছে কাজের পরিসর। এরইমধ্যে হুগলির মগরায় বন্ধ হয়ে গেল সুতো ও রাসায়নিক তৈরির ওই কারখানা। মঙ্গলবার কেশোরাম রেয়ন কারখানার শ্রমিকরা কাজে এসে দেখতে পান, সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলছে গেটে ও দেওয়ালে।করোনা পরিস্থিতির কারনে আর্থিক সঙ্কট,বিক্রি না হওয়ায় উৎপাদিত মাল মজুত হয়ে থাকা, কয়লা এবং কাঁচামালের যোগান না থাকার কারন দেখানো হয়েছে সাসপেনশানের নোটিশে।
আজ সকালের শিফ্টে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা কারখানা গেটে নোটিস দেখতে পান।সূতো তৈরীর এই কারখানায় একটি কেমিক্যাল ইউনিটও রয়েছে।সেটিও বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে।গোলমালের  আশঙ্কায় কারখানার গেটে পুলিশ মোতায়েন করে মগরা থানার পুলিশ।
করোনা আবহে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে।জেলার জুটমিলগুলোর অবস্থাও ভালো না।ত্রিশ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে মিল চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কেশোরাম রেয়ন কারখানায় গত এক সপ্তাহ ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিলো।কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবী,করোনা আবহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় উৎপাদিত পন্য গুদামে মজুত হয়ে পড়ে রয়েছে। কয়লা এবং অন্যান্য কাঁচামালেরও অভাব রয়েছে।তাই কোম্পানী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, ততদিন কারখানায় সাসপেনশান অফ ওয়ার্ক থাকবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। 
কেশোরাম রেয়ন কারখানায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় চার হাজার শ্রমিক কাজ করেন। কেশোরাম রেয়নের সিআইটিইউ সাধারন সম্পাদক কুমুদ মালো বলেন,কারখানায় শ্রমিকদের বেতন ঠিকমত হচ্ছিল না।গত ১১ জুন আমরা কারখানার পাঁচটি ইউনিয়ন মিলে এ নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছি।তার পর থেকে দেখালাম উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলো।গতকাল শ্রমদপ্তর,শ্রমমন্ত্রী, হুগলি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি জানানো হয়।আর আজ সকালে সাসপেনশানের নোটিস দেওয়া হল।আমরা চাইছি সরকারি হস্তক্ষেপে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কারখানা খুলুক।