নয়াদিল্লি: উন্নাও, কনৌজ, কানপুর, রায়বরেলির পর এবার সঙ্গমনগরী প্রয়াগরাজ। গঙ্গার চরে পুঁতে দেওয়া হয়েছে সার সার দেহ। বালির মধ্যেই ফেলে রাখা হয়েছে অর্ধদগ্ধ দেহ। দেহগুলি করোনা আক্রান্তদের বলেই আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ফের সেই অমানবিক, মর্মান্তিক, শিউরে ওঠার মতো ছবি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে যে কী অবস্থা, তা প্রতিদিন উঠে আসা বিভিন্ন ছবি দেখলেই বোঝা যায়। কখনও নদীতে ভেসে আসছে দেহ। কোনওটা আধপোড়া, কোনও দেহে পচন ধরেছে। আশেপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কুকুর। মৃতদেহের উপরে বসে। কখনও আবার গঙ্গার চরে পুঁতে দেওয়া হচ্ছে সার সার দেহ। যা দেখে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা।
শ্রীঙ্গভেরপুর ধামে প্রয়াগরাজ ছাড়াও প্রতাপগড়, সুলতানপুর, ফাইজাবাদ জেলায় কেউ প্রয়াত হলে তাঁর দেহ সৎকার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে এই অঞ্চলে ৫০ থেকে ৬০ জনের দেহ সৎকার করা হতো। এপ্রিল মাস থেকে এই সংখ্যাটা পৌঁছে যেতে শুরু করে প্রায় একশোর কাছাকাছি। শ্মশান কর্তৃপক্ষের দাবি, দাহ করার জন্য কাঠ মিলছে না। শ্মশানে দাহ করার জন্য অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ মৃতদের পরিবারের তরফে। অনেকেই সেই টাকা দিতে অপারগ। আর তারপরেই দেখা যায় গঙ্গার চরে পুঁতে দেওয়া হয়েছে সার সার দেহ। কোনও দেহ আবার অর্ধদগ্ধ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে বালির উপরে।
তবে ওই দেহগুলি করোনা আক্রান্তের কি না তা এখনও জানা যায়নি। গত বছর জুন-জুলাই মাস নাগাদ গঙ্গায় জলের স্তর বেড়ে যায়। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে জলের সঙ্গে চরে চলতে আসতে পারে ওই দেহগুলি। ইতিমধ্যে গঙ্গার পাড়ে টহলদারি শুরু করেছে পুলিশ। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জানা গিয়েছে, নদীর ধারে যে দেহ পড়ে রয়েছে তা উদ্ধার করে সৎকারের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।