নয়াদিল্লি: চিন-ভারত সীমান্ত সংঘাতের আবহে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ থেকে চিনা বাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পাঁচজনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনার অভিযোগে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, শনিবার অরুণাচলের এক শীর্ষ পুলিশকর্তা জানান, ৫ জনের অপহরণের খবর আসার পর পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্তবর্তী আপার সুবনসিরি জেলার জঙ্গলে শিকার করতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। শুক্রবার জেলার নাচো এলাকায় চিনা সেনাবাহিনী তাদের ৫জনকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। ২ জন তাদের খপ্পর থেকে পালিয়ে এসে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। অপহৃতরা হলেন টোক সিঙ্গকম, প্রসাত রিংলিং, ডঙ্গতু এবিয়া, তানু বাকের, নগারু দিরি। সকলেই তাগিন সম্প্রদায়ভুক্ত। এদিকে ভারতের তরফে এ ব্য়াপারে চিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু ট্য়ুইট করেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই অরুণাচল প্রদেশে বর্ডার পয়েন্টে পিএলএ কর্তৃপক্ষকে হটলাইনে বার্তা পাঠিয়েছে। ওদের জবাবের অপেক্ষা করা হচ্ছে।


অপহৃতদের পরিবারের লোকজন, যাঁরা জেলা সজর দাপোরিজোতে থাকেন, জানিয়েছেন, তাঁদের কয়েকজন আত্মীয়স্বজন শনিবার সকালের নাচো রওনা দিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলতে। নাচো জেলা সদর থেকে প্রায় ১২০ কিমি দূরে।
এদিকে পাসিঘাট পশ্চিমের বিধায়ক নিনং এরিং ট্যুইট করেছেন, চিনের পিএলএ বাহিনী আমাদের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের আপার সুবনসিরি থেকে ৫ জনকে অপহরণ করেছে বলে খবর। কয়েক মাস আগেও এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। এজন্য পিএলএ ও সিসিপি চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়া উচিত।
গত মার্চে ম্যাকমোহন লাইনের কাছে আসাপিলা সেক্টর থেকেও একজনকে অপহরণ করেছিল পিএলএ। ২১ বছর বয়সি তোগলে সিনকমের দুই বন্ধু পালাতে পারলেও তাঁকে বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি করেছিল তাঁর পরিবার। ১৯ দিন বন্দি করে রাখার পর তাঁকে ছেড়ে দেয় চিনা সেনাবাহিনী।