নয়া দিল্লি: যার সঙ্গে সাতজন্মের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তাঁকে সাতদিনের মধ্যে তাঁকে পৃথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিয়েছেন! মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে, প্রেমিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে স্বামীকে খুন করেছেন সোনম রঘুবংশী, এমনই অভিযোগ। রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই মেঘালয় পুলিশও বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে। সেখানেই উঠে এসেছে মঙ্গলসূত্রের সূত্র।
মেঘালয় পুলিশের ডিআইজি ডিএনআর মার্ক সোনমের মঙ্গলসূত্র সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে সোনম তার মঙ্গলসূত্র হোটেলেই রেখে গিয়েছিলেন। এনডিটিভির এক খবর অনুযায়ী, ডিআইজি বলেন, "হোমস্টে-র ঘরে রাখা স্যুটকেসে আংটি এবং মঙ্গলসূত্র পাওয়া গেছে। এতে আমাদের সন্দেহ হয়েছে। কেন একজন নববিবাহিতা মহিলা হানিমুনের সময় তার মঙ্গলসূত্র খুলে ফেলবেন? সাধারণত হিন্দিভাষী পরিবারের নববধূরা মঙ্গলসূত্র ও পায়ের আঙুলের আংটি খোলেন না।"
এমনকি, রাজাকে খুন করার দিনটি ছিল রাজা ও সোনমের বিয়ের পরে প্রথম একাদশী। খুনের আগেই রাজার মায়ের সঙ্গে সোনমের যে ফোনালাপের রেকর্ডিং শোনা গিয়েছে। সেখানেও সোনমকে বলতে শোনা যায়, “বেড়াতে এসেছি বলে কী ব্রত ভাঙব! একাদশীর কথা মনে আছে। কিছু খাইনি।” এমন ‘সংস্কারী’ বউমা কীভাবে মঙ্গলসূত্র ঘরে ফেলে চলে গেলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন তোলে পুলিশ।
কীভাবে হয়েছিল খুন? কী জানিয়ে পুলিশ?
প্রথমে সেলফি তোলার অছিলায়, উঁচু জায়গা থেকে ধাক্কা দিয়ে স্বামীকে খুনের প্ল্যান ছিল সোনমের। যাতে গোটা বিষয়টা দুর্ঘটনা বলে মনে হয়। কিন্তু কোনও কারণে সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। এরপরই প্ল্যান B। সুপারি কিলার দিয়ে সদ্য বিবাহিত স্বামীকে খুন। পুলিশ সূত্রে খবর, রেগুলার জিমে যাওয়া, সুঠাম চেহারার রাজার সঙ্গে প্রথমে সহজে পেরে ওঠেনি ৩ সুপারি কিলার। ৩ যুবক যখন রাজাকে পাহাড়ের ওপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলার চেষ্টা করে, প্রথমটায় রুখে দাঁড়ায় রাজা। এরপরই পিছন থেকে দা দিয়ে আঘাত, যার জেরে মৃত্যু হয় রাজা রঘুবংশীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার সঙ্গে আগাগোড়া যুক্ত থাকলেও, খুনের সময় সশরীরে উপস্থিত ছিল না সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহ।